ওয়াশিংটন: দেখতে দেখতে দেড় বছর কেটে গেলেও করোনার উৎপত্তি নিয়ে রহস্য আজও মেটেনি। চিনের দাবি, পশু-পাখির বাজার থেকেই মানবদেহে ছড়িয়ে পড়েছিল করেনাভাইরাস। উল্টোদিকে আমেরিকার মতো একাধিক তাবড় তাবড় দেশের দাবি, উহানের ল্যাবে জৈব অস্ত্র তৈরি করছিল চিন। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাস। দুই তরফের তরজার মাঝেই আমেরিকা জানাল, তাদের ডেটাবেস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রথমদিকে খোঁজ মেলা করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স।
করোনার উৎপত্তি নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে তথ্য লুকানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে বুধবার আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের তরফে জানানো হয়, ২০২০ সালের মার্চে “সিকোয়েন্স রিড আর্কাইভ” নামক যে সংস্থার কাছে এক চিনা গবেষক আদি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য সংগ্রহ করে রাখার আবেদন জানান। কিন্তু তিন মাস বাদেই, জুনে তিনি সেই তথ্য সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানান ওই গবেষক।
চিনের উহান থেকে সংগৃহীত করোনাভাইরাসের নমুনার জেনেটিক সিকোয়েন্স সরিয়ে নেওয়ার কারণ হিসাবে ওই গবেষক জানিয়েছিলেন, সিকোয়েন্স নিয়ে আরও তথ্য আপডেট করা হয়েছে এবং তা অন্য একটি ডেটাবেসের কাছে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। সুতরাং জিনোম সিকোয়েন্সের বিভিন্ন ভার্সন নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে যেন ওই তথ্যগুলি সরিয়ে ফেলা হয়।
ডেটাবেস থেকে জেনেটিক সিকোয়েন্স সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পরই আমেরিকার ভাইরোলজিস্ট জেসি ব্লুম বলেন, “আরও কত তথ্য লুকোনো হয়েছে, কে জানে। ডেটাবেসে যে তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে বিশেষ কোনও তথ্য ছিল না।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চলতি বছরের শুরুতেই চিনে একটি তদন্তকারী দল পাঠানো হয় করোনার উৎপত্তিস্থল খুঁজতে। তাদের তরফেও কোনও পশুর মাধ্যমেই মানবদেহে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বেই জোর দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্বের একাধিক গবেষক ও রাজনৈতিক নেতারা চিনের বিরুদ্ধে তথ্য লুকানোর অভিযোগই তোলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেন।
আরও পড়ুন: লিমুজ়িন চালকের থেকে করোনা সংক্রমিত ৬৫, ফের লকডাউন জারি মধ্য সিডনিতে