Budget 2022: বাজেট থেকে প্রত্যাশা অনেক, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কি ‘বুস্টার ডোজ়’ জোগাবে কেন্দ্র?

Healthcare Budget 2022: করোনা সংক্রমণের শুরুতে বিদেশ থেকে ভেন্টিলেটর আমদানি করা হলেও, পরবর্তী সময়ে "মেড ইন ইন্ডিয়া" ভেন্টিলেটরই তৈরি করা হয় ও বর্তমানে তা বিদেশেও রফতানি করা হয়েছে। আগামিদিনে যাতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যবহৃত দামী যন্ত্রপাতিও দেশেই তৈরি করা যায়, তার জন্য এই খাতে বরাদ্দ বাড়াতে পারে কেন্দ্র।

Budget 2022: বাজেট থেকে প্রত্যাশা অনেক, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কি 'বুস্টার ডোজ়' জোগাবে কেন্দ্র?
বাজেট থেকে অনেক প্রত্যাশা স্বাস্থ্যক্ষেত্রের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2022 | 4:29 PM

নয়া দিল্লি: করোনা মহামারি (COVID-19 Pandemic) এসে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে। গত বাজেটেই ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল স্বাস্থ্য খাতে (Healthcare Sector)। বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন বাজেটে (Budget 2022) বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ আরও বাড়ানো হতে পারে। একইসঙ্গে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানি থেকে জরুরি ওষুধের দাম কমানো, একাধিক ঘোষণা হতে পারে এই বাজেটে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কী কী বড় ঘোষণা হতে পারে, একনজরে দেখে নেওয়া যাক-

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমানে সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা করোনাই। কয়েক মাস অন্তরই নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলায় বিপদ বাড়ছে। সেই কারণেই ছোটদের ও প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের পাশাপাশি প্রিকশন ডোজ় দেওয়াও শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় কোভিড টিকাকরণ প্রোগ্রাম লঞ্চ করেছিল। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ১২-১৫ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু করা হবে। এই টিকাকরণও বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য সরকারকে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করতে হবে। সেই কারণে আসন্ন বাজেটে টিকাকরণের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হতে পারে।

কেন্দ্রীয় বাজেটে মহিলাদের সুস্থতার উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হতে পারে। সরকার ইতিমধ্যেই স্যানিটারি প্যাডের উপর করে ছাড় দিয়েছে।এই বাজেটে স্যানিটারি প্যাড তৈরি এবং তার প্যাকেজিংয়েও কর ছাড়ের দাবি জানিয়েছেন উৎপাদনকারীরা।

বিদেশ থেকে আমদানি করা ওষুধের উপরও সেস কমাতে পারে কেন্দ্র। এতে একদিকে যেমন দুরারোগ্য চিকিৎসা সহজ হবে, তেমনই সাধারণ মানুষের পকেটের উপর থেকেও চাপ কমবে।

বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী ও জীবনদায়ী ওষুধের উপরও অতিরিক্ত করের ছাড় দাবি করা হয়েছে। অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া সম্ভব না হলে, বর্তমানে যে পরিমাণ ছাড় দেওয়া হয়, তা যেন জারি রাখা হয়, সেই দাবিও জানানো হয়েছে।

দেশে চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বিশেষ জোর দিতে পারে কেন্দ্র। করোনা সংক্রমণের শুরুতে বিদেশ থেকে ভেন্টিলেটর আমদানি করা হলেও, পরবর্তী সময়ে “মেড ইন ইন্ডিয়া” ভেন্টিলেটরই তৈরি করা হয় ও বর্তমানে তা বিদেশেও রফতানি করা হয়েছে। আগামিদিনে যাতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যবহৃত দামী যন্ত্রপাতিও দেশেই তৈরি করা যায়, তার জন্য এই খাতে বরাদ্দ বাড়াতে পারে কেন্দ্র।

করোনা মহামারি দক্ষ কর্মীর সঙ্কটকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। অল্প খরচেই যাতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্র। এবারের বাজেটেও স্বাস্থ্য বা শিক্ষা ক্ষেত্রে এই বিষয়ের উল্লেখ থাকতে পারে।

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে রাজ্যগুলিতে দেওয়া তহবিলও এবার ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে। একইসঙ্গে আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে ডিজিটাল চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরির কাজেও জোর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: Budget 2022: কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার শেষ সুযোগ এটাই, নির্মলার বাজেটে নজরে থাকবে কী কী?