Budget 2022: করোনার ধাক্কা সামলাতে বাজেটে কোন কোন ক্ষেত্রে থাকবে বিশেষ নজর, জেনে নিন…
Budget Expectation: কেন্দ্রীয় বাজেটে এবার অন্যতম আকর্ষণ ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সরকারের অবস্থান। গত বছরই আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রিপ্টোকারেন্সির ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
নয়া দিল্লি: করোনার (COVID-19) পরপর দুটি ঢেউ এসে কোমর ভেঙেছে অর্থনীতির। তবে পিছিয়ে পড়েনি দেশও, ধী ধীরে হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। বর্তমানে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়ছে দেশ। তারই মাঝে আজ কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022) পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মাঝেই সরকার আগামী অর্থবর্ষের জন্য কী কী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ করে, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। বাজেট থেকে একাধিক প্রত্যাশা থাকলেও, বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বেশ কয়েকটি বিষয়।
আয়করে ছাড়:
দেশের চাকুরিরত শ্রেণির অন্যতম প্রত্যাশাই হল আয়করের উপরে ছাড়। তাদের দাবি, আয়করে ছাড় মিললে হাতে যে অতিরিক্ত টাকা থাকবে, তাতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাই বৃদ্ধি পাবে, যার প্রভাব পণ্যের চাহিদা ও দেশের অর্থনীতির উপর পড়বে।
এই বাজেটে দেড় লক্ষ টাকা অবধি সরাসরি করের উপর যে ছাড় রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ছাড়ের সীমা ১৫ লক্ষ টাকা অবধি করার দাবি জানানো হয়েছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি:
কেন্দ্রীয় বাজেটে এবার অন্যতম আকর্ষণ ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সরকারের অবস্থান। গত বছরই আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রিপ্টোকারেন্সির ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সূত্র মতে, ভারতে নিষেধাজ্ঞা জারি বা বিশেষ কোনও নিয়মের আওতায় আনা হতে পারে এই ডিজিটাল অর্থনীতিকে। আগামী অর্থবর্ষের বাজেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান ও তার উপর কর সম্পর্কে জানতে দেশবাসী।
দীর্ঘ মেয়াদী মূলধন কর:
২০১৮ সালের অর্থ আইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চেপেছিল দীর্ঘমেয়াদী মূলকর কর বা লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স। এই আইনের জেরে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছিল বিনিয়োগকারীদের মনোবল। বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিতে এই দীর্ঘ মেয়াদী মূলধন করের কোনও অস্তিত্ব নেই, ভারতেও অর্থনীতিককে ঘুরে দাঁড়াতে এই কর থেকে মুক্তির দাবিই জানিয়েছেন বিনিয়োগকারী-অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
পরোক্ষ কর:
প্রত্যক্ষ করের পাশাপাশি একাধিক বিষয়ের উপর পরোক্ষ করও বসে। ইলেকট্রনিক গাড়ি থেকে শুরু করে পুনর্নবীকরণ শক্তি, একাধিক বিষয়ের উপর কাস্টমস ডিউটিতে সংশোধন আনা হতে পারে আজকের বাজটে। এবারের বাজেটে রফতানি শিল্পতে বিশেষ নজর থাকায় সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপর জোর দিতে পারে এবং সেই সংক্রান্ত নানা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা থেকে শুরু করে আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানো, এই সমস্ত বিষয়ের দিকেই নজর দিতে পারে।