AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দরপত্র দিতে পারেন যে কেউ’, তাজপুরে অনিশ্চিত আদানি গোষ্ঠী?

Tajpur port project: চলতি বছরের অগস্টে শোনা গিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে চুক্তিপত্র পাওয়ার পর পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ শুরু করবে আদানি গোষ্ঠী। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছিল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অন্যান্য পক্ষ থেকে ছাড়পত্র পেলেই আদানি গোষ্ঠীকে 'চুক্তিপত্র' দেওয়া হবে।

'দরপত্র দিতে পারেন যে কেউ', তাজপুরে অনিশ্চিত আদানি গোষ্ঠী?
তাজপুরে অনিশ্চিত আদানি?
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2023 | 7:25 PM
Share

কলকাতা: ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত দিয়েছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সরকার। এর জন্য আদানি গোষ্ঠীকে ইচ্ছাপত্রও দিয়েছিল সরকার। তাজপুরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা ছিল আদানি গোষ্ঠীর। ২০২৫ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, গত এক বছরে বন্দর নির্মাণের কাজ এগোয়নি বললেই চলে। চলতি বছরের অগস্টে শোনা গিয়েছিল, তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য শীঘ্রই পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষা শুরু করবে আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু, সেই কাজ কতটা এগিয়েছে, তার কোনও খবর নেই। এই অবস্থায়, শেষ পর্যন্ত তাজপুরে বন্দর তৈরির কাজ আদানি গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তো? এই প্রশ্ন উঠে গেল। মঙ্গলবার, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাজপুরে বন্দর তৈরির প্রকল্প পাওয়ার জন্য সকল শিল্পপতিকেই দরপত্র দেওয়ার আহ্বান জানালেন। তাঁর এই আহ্বানের পরই চর্চা শুরু হয়েছে, তবে কি তাজপুরে আদানি গোষ্ঠীর বন্দর নির্মাণ অনিশ্চিত?

বস্তুত, চলতি বছরের শুরুতেও তাজপুরে আদানিদের বন্দর গড়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সময় আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে হিন্ডেলবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। যার জেরে লাফিয়ে লাফিয়ে পড়ছিল আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন সংস্থাগুলির শেয়ারের দর। সেই পরিস্থিতিতে আদানি গোষ্ঠী আদৌ বন্দর তৈরিতে আগ্রহ দেখাবে কি না, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে, তারপর হিন্ডেলবার্গের ধাক্কা সামলে উঠেছেন গৌতম আদানি। তাঁর ব্যবসার গাড়ি ফের ট্র্যাকে ফিরে এসেছে। চলতি বছরের অগস্টে শোনা গিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে চুক্তিপত্র পাওয়ার পর পরিবেশ সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজ শুরু করবে আদানি গোষ্ঠী। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছিল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অন্যান্য পক্ষ থেকে ছাড়পত্র পেলেই আদানি গোষ্ঠীকে ‘চুক্তিপত্র’ দেওয়া হবে।

তবে, এরপর পুরো বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগে। হিন্ডেলবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই বিরোধী দলগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটির আওতায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চেয়েছিল। সেই সময় থেকে লাগাতার আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র-সহ তৃণমূল সাংসদরা। সম্প্রতি, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ উঠেছে, শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তিনি আদানি গোষ্ঠীকে নিশানা করতেন।

এতকিছুর পরও অবশ্য আদানি গোষ্ঠীকে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলার তৃণমূল সরকার। এখনও স্পষ্ট নয়, আদানি গোষ্ঠীর কেউ কি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন? এর মধ্যে আদানি গোষ্ঠীকে আগ্রহপত্র দেওয়ার পরও, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাজপুর বন্দর তৈরির জন্য অন্য শিল্পপতিদের কাছ থেকে দরপত্র চাইলেন। তিনি বলেন, “তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য যে কেউ দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে পারেন।” তাহলে কি আদানি গোষ্ঠীকে এই প্রকল্প থেকে সরিয়ে দিচ্ছে সরকার? প্রশ্নটা উঠেই গিয়েছে। বিজেপি নেতা শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তাজপুরে কি কেউ বেঁকে বসেছেন?’