Crypto Crash: ফের ট্রাম্প, বাজার থেকে মুছে গেল ১৯০ কোটি ডলার! সর্বস্ব খুইয়ে আত্মঘাতী ১
Crypto Crash After Trump Tariffs: আবার সেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর একটা সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে খুচরো বিনিয়োগকারীদের। সর্বস্ব খুইয়েছেন তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শুক্রবার চিনের উপর যে ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। আপাতত যার মাশুল গুনছে খুচরো বিনিয়োগকারীরা।

নয়াদিল্লি: এমন পতন নজিরবিহীন নয়। ক্রিপ্টোর দুনিয়ায় উত্থান-পতন অন্যান্য শেয়ার বাজারের তুলনায় একটু অন্য় রকম। বলা যেতে পারে, অন্য স্বাদের। হতে পারেন নিমেশে কাঙাল কিংবা নিমেশে কয়েকশো কোটির মালিক। যেমনটা হল কনস্টানিন গ্যালিশ নামে এক ইউক্রেনিয়ান ক্রিপ্টো ট্রেডারের সঙ্গে। বিলাসবহুল কোটি টাকা দামের গাড়ির ভিতর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন? কেউ কেউ মনে করছেন, ক্রিপ্টোর এই ধসে সর্বস্ব খুইয়ে ফেলেছেন গ্যালিশ।
ক্রিপ্টো বাজারে ধস
শনিবার চোখের নিমেশে ক্রিপ্টো মার্কেট থেকে মুছে গেল ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার। রীতিমতো ধস নামল গোটা বাজারে। নিজেদের সর্বস্ব খোয়ালেন একাধিক ট্রেডার। জানা গিয়েছে, এদিনের ঐতিহাসিক পতনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ক্রিপ্টো দুনিয়ার ‘বেতাজ বাদশা’ বিটকয়েন ও ‘সেনাপতি’ ইথেরিয়ামের উপর।
এক ধাপে ১২ শতাংশ পড়ে যায় বিটকয়েন। দিন কয়েক আগেই নিজের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছোঁয়ার পর ১ লক্ষ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার থেকে সরাসরি ১ লক্ষ ১৩ হাজার মার্কিন ডলারে নেমে আসে বিটকয়েন। কয়েনগ্লাস নামে একটি সংস্থা জানিয়েছে, এই ধসের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৬ লক্ষ ট্রেডার বা বিনিয়োগকারী নিজেদের সমস্ত ক্রিপ্টো অ্যাসেট বিক্রি করে দিয়েছেন।
কলকাঠি নেড়েছেন ট্রাম্প
আবার সেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর একটা সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে খুচরো বিনিয়োগকারীদের। সর্বস্ব খুইয়েছেন তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শুক্রবার চিনের উপর যে ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। আপাতত যার মাশুল গুনছে খুচরো বিনিয়োগকারীরা। এদিন হোয়াইট হাউস তরফে জানান হয়েছে, আগামী পয়লা নভেম্বর থেকে চিনের সমস্ত পণ্য়ে ১০০ শতাংশ করে শুল্ক চাপানো হবে। আর এই ১০০ শতাংশ শুল্কের কথা ঘোষণা করতেই ক্রিপ্টো বাজারে নামে ধস। নিমেশে সব ধূলিসাৎ। অবশ্য কেউ কেউ মনে করেন, ট্রাম্পের এই সকল সিদ্ধান্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বেশি চাপে ফেলতে পারেনি। কারণ, বেশির ভাগ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সর্বদাই চেষ্টা করেন বাজারকে নীচের দিকে ঠেলে নামানোর। অপরদিকে, বাজারকে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান খুচরো বিনিয়োগকারী। তাই আপাতত তাদের উপরেই পড়ল কোপ।
