Indian Economy: টপকে যাবে জার্মানি-জাপানকেও, ২০২৯ সালেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত?

Indian Economy: SBI-র রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষেই ভারকের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশে পৌঁছতে পারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ সহ আন্তর্জাতিক মহলে নানা অস্থিরতা ও আর্থিক ওঠাপড়ার কারণে জিডিপির বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে।

Indian Economy: টপকে যাবে জার্মানি-জাপানকেও, ২০২৯ সালেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত?
রকেটের গতিতে ছুটছে ভারতের অর্থনীতি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2022 | 1:30 AM

নয়া দিল্লি: ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মধ্যেই এই লক্ষ্যপূরণের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এরইমাঝে নতুন সাফল্যের পালক জুড়েছে ভারতের মুকুটে। ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ভারত। যদি অর্থনীতির বৃদ্ধির এই গতিই ধরে রাখে, তবে আগামী ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষেই ভারকের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশে পৌঁছতে পারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ সহ আন্তর্জাতিক মহলে নানা অস্থিরতা ও আর্থিক ওঠাপড়ার কারণে জিডিপির বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে।

এসবিআইয়ের রিসার্চ রিপোর্টের লেখক, যিনি স্টেট ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষ বলেন, “২০১৪ সালের পর থেকে ভারত এক বিরাট পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে এবং বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। মজার বিষয় হল, এখন নয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই ভারতের অর্থনীতি ব্রিটেনের অর্থনীতিকে টপকে গিয়েছিল। বর্তমানে ভারতের জিডিপির শেয়ার ৩.৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে এই জিডিপির হার ছিল ২.৬ শতাংশ। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যেই এই জিডিপির শেয়ার ৪ শতাংশ অতিক্রম করবে, যা জার্মানির বর্তমান জিডিপি হার।”

আগামী ২০২৯ সালের মধ্যেই জার্মানি ও জাপানের অর্থনীতিকে টপকে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। যে হারে জিডিপির বৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে অর্থবর্ষ শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশ অস্বাভাবিক নয়।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের একচেটিয়া ব্যবসা ও আমেরিকা সহ একাধিক শক্তিধর দেশের সঙ্গে শত্রুতার কারণেই অনেকেই আর নতুন করে চিনে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। আর সেই ফায়দাই তুলছে ভারত।