Cyrus Mistry: ১ বছরেই দু’বার অভিভাবকহীন সাপুরজি-পালোনজি গ্রুপ, সাইরাসের পর সংস্থার রাশ ধরবেন কে?
Sapoorji Pallonji Group: ২০১৯ সালের শেষভাগে সাপুরজি পালোনজি গ্রুপের দায়িত্বে আরও পরিবর্তন আনা হয়। সাপুরের পুত্র পালোন (২৬)-কে বোর্ড অব গ্রুপের সদস্য করা হয়। তাঁর কন্যা তানিয়াকে সংস্থার কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নয়া দিল্লি: এক বছরেই দু’বার অভিভাবকহারা হল পালোনজি গ্রুপ। গত জুন মাসেই প্রয়াত হয়েছেন পালোনজি মিস্ত্রি। এরপরে পথদুর্ঘটনায় অকালেই মৃত্যু হল তাঁর পুত্র সাইরাস মিস্ত্রিরও। কয়েক মাসের ব্যবধানেই পালোনজি গ্রুপের দুই কর্ণধারের মৃত্যুতে যে প্রশ্নটা সবথেকে বেশি উঠে আসছে, তা হল এই দুইজনের অবর্তমানে এবার পালোনজি গ্রুপের দায়িত্ব কে সামলাবেন?
যেই সময়ে সাপুরজি পালোনজি গ্রুপকে এ-লিস্টে জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেখানেই পালোনজি মিস্ত্রি ও সাইরাস মিস্ত্রির অকাল প্রয়াণ বড় ধাক্কা হিসাবেই প্রমাণিত হয়েছে। পালোনজি মিস্ত্রি মৃত্যুর আগে তিনি ছেলে সাইরাসের হাতেই যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন। ৩০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি ছাড়াও ১৩০ বিলিয়ন ডলারের টাটা গ্রুপের ১৮.৬ শতাংশ শেয়ারও সাইরাস মিস্ত্রির হাতেই ছিল। তবে ২০১২ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পরই সাইরাস আর পারিবারিক ব্যবসায় নাক গলাননি। তাঁর দাদা সাপুর মিস্ত্রিই যাবতীয় দায়িত্ব সামলান। পালোনজি মিস্ত্রিও ২০১২ সালে অবসরের পরে তাঁর বড় ছেলে সাপুর পালোনজির হাতেই দায়িত্ব তুলে দেন।
২০১৯ সালের শেষভাগে সাপুরজি পালোনজি গ্রুপের দায়িত্বে আরও পরিবর্তন আনা হয়। সাপুরের পুত্র পালোন (২৬)-কে বোর্ড অব গ্রুপের সদস্য করা হয়। তাঁর কন্যা তানিয়াকে সংস্থার কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে, সাইরাস মিস্ত্রির দুই পুত্র ফিরোজ় ও জ়াহান এখনও বাণিজ্য জগতে পা রাখেননি। তবে জেন-জেডের হাতেই সংস্থার ডিজিটাইজেশন ও শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।