Predator Drone: ৩২০০০ কোটির চুক্তিতে স্বাক্ষর ভারতের, জোর বাড়ছে সেনাবাহিনীর
Predator Drone: চেন্নাইয়ের আইএনএস রাজাজি এবং গুজরাটের পোরবন্দরে মোতায়েন করা হবে এই সব ড্রোন। জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে ১৫টি ড্রোন থাকবে সামুদ্রিক এলাকায়। বাকি ড্রোনগুলি চিন ও পাকিস্তানের সীমান্তে নজর রাখতে মোতায়েন করা হবে।
নয়া দিল্লি: সামরিক ক্ষেত্রে আরও বেশি শক্তিশালী হওয়ার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করছে ভারত। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার ৩২,০০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। মোট ৩১টি MQ-9B গার্ডিয়ান ড্রোনের জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নয়া দিল্লি। এর মধ্যে ১৫টি ড্রোন ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য এবং চারটি ড্রোন বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনীর জন্য থাকবে। এই চুক্তির ফলে তিন বাহিনীর শক্তি আরও বাড়বে।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই ড্রোন ব্যবহার করে সবথেকে বেশি লাভবান হবে ভারত। চিন যখন ক্রমাগত তার সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন এই চুক্তি ভারতে সামরিক ক্ষেত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তি অনুসারে ভারত ৩১টি রিমোট-পাইলট এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম কিনবে।
এই চুক্তির অধীনে, ভারত ৩১টি রিমোট-পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম কিনবে, যার মধ্যে রয়েছে হেলফায়ার মিসাইল, GBU-39B গাইডেড গ্লাইড বম্ব, নেভিগেশন সিস্টেম, সেন্সর স্যুট এবং মোবাইল গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম। এই ড্রোনগুলির চার বছরের মধ্যে ভারতে পাঠাতে শুরু করবে আমেরিকা। ছয় বছরের মধ্যে পুরো ডেলিভারি সম্পূর্ণ হবে।
৩১ MQ-9B ‘হান্টার-কিলার’ প্রিডেটর ড্রোন কেনার এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ফলে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় জোরদার হবে এবং সম্পর্কও মজবুত হবে। এর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তিও বাড়বে। এই ড্রোনগুলো আমেরিকার জেনারেল অ্যাটমিক্স কোম্পানি তৈরি করেছে।
চেন্নাইয়ের আইএনএস রাজাজি এবং গুজরাটের পোরবন্দরে মোতায়েন করা হবে এই সব ড্রোন। জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে ১৫টি ড্রোন থাকবে সামুদ্রিক এলাকায়। বাকি ড্রোনগুলি চিন ও পাকিস্তানের সীমান্তে নজর রাখতে মোতায়েন করা হবে।
এই ড্রোন ৪০,০০০ ফুটের বেশি উচ্চতায় প্রায় ৪০ ঘন্টা উড়তে পারে। এটি একটি লেজার গাইডেড মিসাইল, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের মতো অনেক ধরনের অস্ত্র বহন করতে পারে।