India Space Defence System: সীমান্তে নয়, এবার নতুন শত্রুর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ তৈরির পথে ভারত!
Indian Space Research Organisation: LiDAR বা Light Detection and Ranging-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন ঘটনা খুব তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা হবে। তারপর পৃথিবী থেকেই সেই স্যাটেলাইটকে সঠিক নির্দেশ দেওয়া হবে।

কিছুদিন আগেই পাক সীমান্তে উত্তেজনার পরিস্থিতি দেখেছে ভারত। পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে যোগ্য জবাব। আর এবার পাকিস্তান নয়, নতুন এক শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে চলেছে ভারত। ২০২৪ সালের মাঝামাঝির একটি ঘটনা ভারতকে এই নয়া শত্রু সম্পর্কে অবগত করেছে। এক প্রতিবেশী দেশের কৃত্রিম উপগ্রহ ভারতীয় স্যাটেলাইটের প্রায় ১ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছিল। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই কেন্দ্রীয় সরকার মহাকাশ সুরক্ষার নতুন পরিকল্পনা করছে। তৈরি হবে ‘বডিগার্ড স্যাটেলাইট’।
কেন এমন পদক্ষেপ?
চিনের কাছে বর্তমানে ৯৩০টির বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে। আর ভারতের রয়েছে সেখানে ১২০-এর আশেপাশে। আর মহাকাশে শক্তির এই পার্থক্যই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ভারত সরকারের।
কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি? জানা গিয়েছে, LiDAR বা Light Detection and Ranging-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন ঘটনা খুব তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা হবে। তারপর পৃথিবী থেকেই সেই স্যাটেলাইটকে সঠিক নির্দেশ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার এই কাজের জন্য ৫০টি নতুন নজরদারি স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণের জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকা বা প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরোর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রামের প্রাক্তন ডিরেক্টর সুধীর কুমার এন জানিয়েছেন, ‘সারাদিন এই ধরণের বিষয়কে ট্র্যাক করার ক্ষমতা আমাদের নেই। কিন্তু কিছু স্টার্টআপ এই নিয়ে কাজ করছে’। দেশের সামরিক প্রয়োজন মেটাতে এই স্যাটেলাইটগুলি গুরুত্বপূর্ণ। মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময়ও ৪০০-এর বেশি বিজ্ঞানী দিনরাত কাজ করেছেন। এর মধ্যেই গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে, পাকিস্তানকে তাদের স্যাটেলাইট কভারেজ ঠিক করতে সাহায্য করেছে চিন।
কলকাতা থেকে দিল্লি, এবার মহাকাশেও নজরদারি আরও কঠোর হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা আর সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এই নতুন পদক্ষেপ অবশ্যই জরুরি।
