AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nokia কি ফিনিক্স পাখি? হারিয়েই গিয়েছিল, সেখান থেকে কয়েকশো কোটি ডলারের মার্কেট ক্যাপ এই সংস্থার!

Nokia Corporation: কিন্তু গত কয়েকটা বছরে স্যামসং, অ্যাপেল বা একাধিক চিনা সংস্থার ভিড়ে আপনি শুনেছিলেন নোকিয়ার নাম? ২০১০ সালে যখন অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস গোটা বিশ্বের বাজার ছেয়ে ফেলেছিল তখন নোকিয়া ধীরে ধীরে লসের দিকে এগিয়ে যায়।

Nokia কি ফিনিক্স পাখি? হারিয়েই গিয়েছিল, সেখান থেকে কয়েকশো কোটি ডলারের মার্কেট ক্যাপ এই সংস্থার!
শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নোকিয়া!Image Credit: PTI
| Updated on: Nov 24, 2025 | 1:52 PM
Share

আচ্ছা সেই নোকিয়া কোম্পানিকে মনে আছে আপনার? কিপ্যাড ফোন তৈরি করত? এক সময় আমরা কতই না সেই স্নেক গেম খেলেছি। ১৮৬৫ সালে ফিনল্যান্ডে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেই শুরু। একাধিক ব্যবসায় হাত পাকিয়ে অবশেষে একটা সময় তারা ঝুঁকে পড়ে মোবাইল ডিভাইস তৈরির দিকে। ১৯৮২ সালে শুরু, আর সেই মোবাইল ডিভাইস তৈরির ব্যবসাতেই একপ্রকার সর্বোচ্চ সাফল্য ও বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ করে নোকিয়া।

কিন্তু গত কয়েকটা বছরে স্যামসং, অ্যাপেল বা একাধিক চিনা সংস্থার ভিড়ে আপনি শুনেছিলেন নোকিয়ার নাম? ২০১০ সালে যখন অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস গোটা বিশ্বের বাজার ছেয়ে ফেলেছিল তখন নোকিয়া ধীরে ধীরে লসের দিকে এগিয়ে যায়। আর সেই সময় তাদের ব্র্যান্ড নেম ব্যবহার করে নোকিয়া মোবাইল ডিভাইস তৈরি শুরু করে ফিনল্যান্ডের আর এক সংস্থা এইচএমডি। ২০১৪ থেকে ২০২৪, মোট ১০ বছরের চুক্তি হয়। আর আসল নোকিয়া কোম্পানি চলে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে।

আর তারপর গত ১০ বছরে তারা ধীরে ধীরে উন্নতি করে টেলি পরিষেবার ব্যবসায়। তারা শুরু করে মোবাইল নেটওয়ার্কের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নির্মাণের ব্যবসা। ২০১৭ সালে তারা তৈরি করে ৫জি রেডি নেটওয়ার্ক। এ ছাড়াও নোকিয়ার ব্যবসায় বিরাট প্রভাব ফেলে তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবসাও। গোটা পৃথিবীতে যে সব সংস্থা অপটিক্যাল কেবল তৈরি করে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কদর নোকিয়ার কেবলেরই।

এ ছাড়াও চলতি বছরে তারা ৬জি নেটওয়ার্ক ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার জন্য এনভিডিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করে নোকিয়া। আর তারপর থেকে হুড়মুড়িয়ে বাড়তে থাকে এই সংস্থার শেয়ারের দামও। ফলে, এক সময় যে সংস্থা নিজেদের শুধুমাত্র মোবাইল ডিভাইস তৈরিতে সীমাবদ্ধ রেখেছিল আজ তারা নিজেদের বিস্তার করেছে বিশ্বব্যাপী। আর এখন মোবাইল চালাতে সেই সব সংস্থাগুলোকে নির্ভর করতে হবে নোকিয়ার উপরই।