Personal EMI: পার্সোনাল লোন-এ EMI-এর বোঝা কমাতে চান? এগুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন
Bank Personal Loan: ব্যাঙ্কগুলি তখনই ব্যক্তিগত ঋণ দেয় যখন আপনার নির্দিষ্ট আয়ের একটি শক্ত উৎস থাকে। সাধারণত ন্যুনতম ৩০ হাজার টাকা বেতন পেলে তবেই ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ঋণ দিতেও ব্যাঙ্কগুলো পিছপা হয় না।
নয়া দিল্লি: বাড়ি বা গাড়ি কেনার সময় সাধারণত মানুষ পরিকল্পনা করেই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন। তবে যদি হঠাৎ কোনও প্রয়োজন পড়ে? আচমকা যদি টাকার দরকার হয়? তখনই মানুষ পার্সোনাল লোন নেওয়ার কথা ভাবেন। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, গৃহঋণের পর দেশে সবচেয়ে বেশি সুদ নেওয়া হয় ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোনে। ব্যাঙ্কগুলি নির্দ্বিধায় গ্রাহকদের এই ঋণ দিয়ে থাকে। তবে ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি কিছু বিষয় মাথায় রাখা হয়, তাহলে ব্যাঙ্কগুলি আপনার কাছ থেকে যথেচ্ছ সুদ নিতে পারবে না। পাশাপাশি EMI-এর বোঝাও কমে যাবে।
এই ঋণের জন্য আবেদন করলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে যাবেন। তবে যে সব বিষয় মাথায় রাখা উচিত, সেগুলি হল-
১. ব্যক্তিগত ঋণের জন্য আয়ের একটি নির্দিষ্ট উৎস থাকা প্রয়োজন। ব্যাঙ্কগুলি তখনই ব্যক্তিগত ঋণ দেয় যখন আপনার নির্দিষ্ট আয়ের একটি শক্ত উৎস থাকে। সাধারণত ন্যুনতম ৩০ হাজার টাকা বেতন পেলে তবেই ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ঋণ দিতেও ব্যাঙ্কগুলো পিছপা হয় না।
২. আপনার ঠিক কত অর্থ প্রয়োজন, সেটা গণনা করে নিন। সেই অনুযায়ী টাকা নিন, তার থেকে বেশি নেবেন না।
৩. ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়ার সময় ঋণের মেয়াদ বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত ঋণের মেয়াদ সাধারণত ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু কিছু ব্যাঙ্ক সর্বোচ্চ ৯৬ মাস এবং সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদও অফার করে। সঠিক ঋণের মেয়াদ বাছাই করলে ইএমআই-এর পরিমাণ কমাতে পারবেন। আপনি যদি ইএমআই-এর বোঝা কম রাখতে চান, তাহলে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ বেছে নিন। তবে স্বল্পমেয়াদি ঋণে সুদের হার কম।
৪. ব্যক্তিগত ঋণের জন্য আবেদন করার আগে, আপনার বর্তমান ক্রেডিট স্কোর জানা অপরিহার্য। ৭৫০ বা তার বেশি স্কোর বজায় রাখা ভালো বলে মনে করা হয়। এটি আপনার জন্য স্বল্প সুদে ব্যক্তিগত ঋণ পেতে সহজ করবে।