Share Market: বড় লাভের মুখ দেখতে শেয়ারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করুন, মাথায় রাখুন এই ৪ টিপস

Share Market: আমরা অনেক সময় বিনিয়োগ করার পরই অধৈর্য্য হয়ে পড়ি। পতনের আঁচ পেলেই শেয়ার বেচে দিতে চাই। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Share Market: বড় লাভের মুখ দেখতে শেয়ারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করুন, মাথায় রাখুন এই ৪ টিপস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 11:27 PM

কলকাতা: শেয়ার মার্কেটে (Share Market) বিনিয়োগ করে অল্প সময়েই বড় লাভের মুখ দেখতে চান অনেকেই। অনেকে বড় লাভের মুখ দেখলেও সিংহভাগ ক্ষেত্রে না বুঝে বিনিয়োগ ও ধৈর্য্যহারা হয়ে যাওয়ার কারণে বড় লোকসানও হয়ে যায় অনেক বিনিয়োগকারীর (Investors)। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রথমেই মাথায় রাখতে কোনও সংস্থায় বিনিয়োগ করার সময় Think Like a owner. সহজ কথায় ভেবে বিনিয়োগের সময় নিজেকে ওই সংস্থার মালিকের একটা অংশ ভেবে বিনিয়োগ করতে হবে। ভাবতে হবে যদি সেই সংস্থা আপনার নিজের হত তাহলে আপনি তার উন্নতির কথা কোন পথে ভাবতেন। ধরতে হবে ধৈর্য্য, বুঝতে হবে বাজার। তারপরই করতে হবে বিনিয়োগ।  

মার্কেটে পতনের সুযোগ নিন

ধরা যাক,  কোনও সংস্থায় বিনিোগের সময় তাঁর শেয়ারের দাম আপনার মনে হল অনেকটাই বেশি। সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা করুন। পরবর্তীতে এমন কোনও পরিস্থিতি এল যখন মার্কেট ক্র্যাশ করল আর তখন ওই সংস্থার শেয়ার মূল্যেও অনেকটা বড় পতন দেখতে পাওয়া গেল। তখনই সুযোগ। ওই সময়ই বড় সংস্থার বড় দামের শেয়ার আপনি পকেটে ঢুকিয়ে নিতে পারেন। সাম্প্রতিককালে ২০২০ সালের এরকম একটা বড় ধস দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। অনেক বড় সংস্থার শেয়ার দর আশাতীতভাবে কমে গিয়েছিল। 

দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বানান

দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বানান। অর্থাৎ, বিনিয়োগের সময় কোনও একটা উদ্দেশ্য নিয়ে বিনিয়োগ করুন। তাহলে আপনার কাছে একটা স্বচ্ছ ধারনা থাকবে যে কত বছরের মধ্যে আপনাকে কতটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে হতে পারে। বাজারে বড় ধস না নামলে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার হিসাব অনুযায়ী টাকা রিটার্ন পাচ্ছেন কিনা সেটা লক্ষ্য রাখতে পারবেন। 

ধৈর্য ধরুন

আমরা অনেক সময় বিনিয়োগ করার পরই অধৈর্য্য হয়ে পড়ি। পতনের আঁচ পেলেই শেয়ার বেচে দিতে চাই। আবার লাভের খাতায় অল্প কিছু জমা হলেই তা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু, বড় লাভের জন্য অবশ্যই ধরতে হবে ধৈর্য। বাজার ওঠা-নামার উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। তারপরই নিজের হোল্ডিংয়ে থাকা শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করা যেতে পারে। 

আইডিয়ার পোর্টফোলিও বলে কিছু হয় না

ধরা যাক আপনার ড্যাশবোর্ড বা পোর্টফোলিওতে ১০টি স্টক রয়েছে। কিন্তু, তারমধ্যে ১০টি স্টক সর্বদাই ভাল রিটার্ন দিতে থাকবে এটা হয় না। হতে পারে এর মধ্যে দুটি স্টক ভাল রিটার্ন দেবে। চারটি মাঝারি মানে। দেখা গেল তিনটি স্টক নেগেটিভ পারফর্ম করছে। আর একটা স্টক মাল্টিব্যাগার স্টক হিসাবে উঠে আসছে। অর্থাৎ অল্প সময়েই প্রচুর রিটার্ন দিচ্ছে। তারমানে এই নয় যে এই স্টকই সবথেকে ভাল, বাকিগুলি খারাপ। কারণ শেয়ার মার্কেটের খেলা কখন কোনদিকে বাঁক নেয় তার পূর্বাভাস এত সহজে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আদর্শ পোর্ট ফোলিও নয়, বরং বাজার বুঝে স্টকে বিনিয়োগ করার উপর মন দেওয়া উচিৎ।