RailTel-Nokia Partnership: নোকিয়ার সঙ্গে রেলটেলের জুটি, বাড়বে আপনার ইন্টারনেট স্পিড?
High Speed Internet: পুরোনো DWDM (Dense Wavelength Division Multiplexing) পরিকাঠামো এখন নতুন রূপ পাচ্ছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে নোকিয়ার অ্যাডভান্সড ১৮৩০ ফটোনিক সার্ভিস সুইচ বা PSS প্রযুক্তি। এর ফলে প্রতি বিট ডেটা পরিবহনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে আর নেটওয়ার্কের ক্ষমতা বাড়বে বহুগুণ।

এবার ভারতের ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে কোমর বেঁধে উঠে পড়ে গেলেছে রেলটেল। আর সেই সূত্রেই নোকিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা। আসলে রেলটেলের ন্যাশনাল লং-ডিস্ট্যান্স (NLD) ও মেট্রো অপটিক্যাল নেটওয়ার্ককে আধুনিক করার জন্যই এই চুক্তি। বলা হচ্ছে এই আপগ্রেডের ফলে, সারা দেশে হাই-স্পিড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ও নেটওয়ার্কের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পাবে।
একদা নোকিয়া নতুন নতুন ফোন তৈরি করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। সেই সংস্থাই পরবর্তীতে সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে সরে গিয়েছিল স্মার্টফোন তৈরি থেকে। আর তারপর তারা শুরু করে ইন্টারনেটের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি ও ৫জি রেডি স্ট্যাক বিক্রি। আজ সেই সংস্থাই গতি বাড়াবে ভারতের ইন্টারনেটের।
পুরোনো DWDM (Dense Wavelength Division Multiplexing) পরিকাঠামো এখন নতুন রূপ পাচ্ছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে নোকিয়ার অ্যাডভান্সড ১৮৩০ ফটোনিক সার্ভিস সুইচ বা PSS প্রযুক্তি। এর ফলে প্রতি বিট ডেটা পরিবহনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে আর নেটওয়ার্কের ক্ষমতা বাড়বে বহুগুণ। এ ছাড়াও যে সব ফাইবার স্পেকট্রাম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সেগুলোও এখন কাজে লাগানো যাবে।
আপনার ইন্টারনেট গতি কি সত্যিই বাড়বে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সত্যিই বাড়বে। কারণ, এই আপগ্রেডের মাধ্যমে দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন ‘ল্যামডা রুট’ চালু করা হচ্ছে। যা ডেটা চলাচলের পথকে মসৃণ করবে। বলা যায়, ডেটা চলাচলের জন্য এক্সপ্রেস ওয়ে বা হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে যেন। এতে রেলটেলের এন্টারপ্রাইজ ও ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা সরাসরি উপকৃত হবেন।
রেলটেলের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার বলেছেন, “এটি আমাদের CG-NAT এবং অপটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম আধুনিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নোকিয়ার প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় আমরা আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য পরিষেবা দিতে পারব।” নোকিয়াও যোগ করেছে যে, তাদের ৭৭৫০ সার্ভিস রাউটার এন্টারপ্রাইজ-গ্রেড হাই-স্পিড ট্র্যাফিক সামলাতে সক্ষম হবে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হল—এই নেটওয়ার্ক ‘ভেন্ডর-নিউট্রাল’ এবং ‘ওপেন-নেটওয়ার্ক’ মডেল মেনে তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে যে কোনও নতুন প্রযুক্তি সহজেই এতে যুক্ত করা যাবে। এটি ভারতের ক্রমবর্ধমান ইন্টারনেটের চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে রেলটেলকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা নিতে সাহায্য করবে। এই অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক অদূর ভবিষ্যতে আপনার স্মার্টফোন এবং অফিসের কাজের গতি যে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
