বাতিল Smartphone, Laptop-এই লুকিয়ে লক্ষ-কোটির জিনিস, আবর্জনা ঘেঁটে সে সব বের করলেই হল!
Rare Earth Metals, Smartphone, Laptops: ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের চিপ থেকে ব্যাটারি, সব কিছুতেই ব্যবহার হয় কোনও না কোনও বিরল ধাতু। আর সেই কারণেই পরিশোধন করে ওই সব ধাতু বের করতে চাইছে কেন্দ্র।

আবর্জনা মানে শুধু নোংরা, এমনটা এখন আর হয়তো বলা যাবে না। কারণ? কারণ, কেন্দ্র সরকার বলছে আবর্জনার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার জিনিস। আর কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার সেই সব বহুমূল্য জিনিস বের করে নিয়ে আসা হবে। আর এর জন্যই ঘোষণা করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ ইনসেন্টিভ স্কিম।
গত কয়েক বছরে দেশে হু হু করে বেড়েছে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবহার। দেশের প্রায় সব মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে মোবাইল ফোন। এ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত অচল কম্পিউটর ছাড়া। এ ছাড়াও রয়েছে স্মার্ট ওয়াচ বা ট্যাবের মতো জিনিসও। আর এর পাশাপাশি হালে যোগ হয়েছে ইলেকট্রিক গাড়িও। আর এই সবের ফলে গোটা দেশে জমা হচ্ছে বৈদ্যুতিন বর্জ্য। এবার সেই বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের পরিকল্পনা করল কেন্দ্র।
ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের চিপ থেকে ব্যাটারি, সব কিছুতেই ব্যবহার হয় কোনও না কোনও বিরল ধাতু। আর সেই কারণেই পরিশোধন করে ওই সব ধাতু বের করতে চাইছে কেন্দ্র। বাতিল ইলেকট্রনিক্স বা ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম বা কোবাল্টের মতো বিরল ধাতু পাওয়া যায়। আর সেই কারণেই এই ক্ষেত্রে ইনসেন্টিভের কথা বলেছে কেন্দ্র।
আসলে দেশের মাটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করতে প্রচুর রেয়ার আর্থ প্রয়োজন হয়। সেটা মোবাইল হোক বা ইলেকট্রিক গাড়ি। আর এই ধরনের খনিজের উপর অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের। সেই কারণেই এই বিপুল বর্জ্য থেকে যদি প্রয়োজনীয় ধাতু নিষ্কাশনকরা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও ঘরোয়া চাহিদা মেটাতে পারবে ভারত। তাহলে সেই সব ক্ষেত্রে চিনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না আমাদের। আর সেই কারণেই এই প্রকল্প এত গুরুত্ব পাচ্ছে।
