Ratan Tata: গনগনে আঁচের সামনে বেলচা দিয়ে চুনাপাথর তুলতেন! এক ছাপোষা শ্রমিকের TATA হওয়ার গল্প

TATA Group: ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হন রতন টাটা। অটোমোবাইল থেকে শুরু করে স্টিল- বাণিজ্যকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর আমলে। ১৯৯৬ সালে টাটার টেলিকমিউনিকেশন  কোম্পানি টাটা টেলিসার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করেন।

Ratan Tata: গনগনে আঁচের সামনে বেলচা দিয়ে চুনাপাথর তুলতেন! এক ছাপোষা শ্রমিকের TATA হওয়ার গল্প
রতন টাটা।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Oct 10, 2024 | 11:07 AM

মুম্বই: শিল্পজগতে এক অধ্যায়ের অবসান। প্রয়াত রতন টাটা। বুধবার রাতে মুম্বইয়ের ব্রিচ কান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন তিনি। মৃত্য়ুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। রতন টাটার প্রয়াণের খবরে শোকের ছায়া দেশজুড়ে। তিনি শুধু শিল্পপতি নন, বরং পরিচিত ছিলেন উদ্যোগপতি হিসাবে। হাজার হাজার কোটি টাকার টাটা গ্রুপের সাম্রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও রতন টাটার নাম কখনও বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় আসেনি, কারণ উপার্জনের একটা বড় অংশই তিনি সমাজকল্যাণ মূলক নানা কাজে ব্যয় করতেন। তাঁর হাত ধরেই দেশের বাইরেও ভারতের পরিচিতি গড়ে উঠেছিল শিল্প থেকে অটোমোবাইল ক্ষেত্রে। টাটা গ্রুপ, যার মাথায় ‘ছাতা’ হিসাবে ছিলেন রতন টাটা, তার অধীনে কী কী ব্যবসা রয়েছে জানেন?

১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গ্রুপের চেয়ারম্য়ান পদে ছিলেন রতন টাটা। এরপর তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে আসেন। তবে টাটা গ্রুপ ও ট্রাস্ট্রের বোর্ড সদস্য হিসাবে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আজ দেশে ১০টি ক্ষেত্রে ৩০টি সংস্থা রয়েছে টাটা গোষ্ঠীর অধীনে। তবে ব্যবসায়িক জগতে রতন টাটার প্রবেশ হয়েছিল টাটা স্টিলের মাধ্যমে। ১৯৬২ সালে বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষে তিনি টেলকো সংস্থায় সাধারণ কর্মী হিসাবে যোগ দেন। আর বাকি পাঁচজন কর্মীর মতোই রোজ ডিউটি করতেন, শিখতেন কাজের খুঁটিনাটি। এমনকী, বেলচা দিয়ে চুনাপাথরও তুলেছেন।

১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হন রতন টাটা। অটোমোবাইল থেকে শুরু করে স্টিল- বাণিজ্যকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর আমলে। ১৯৯৬ সালে টাটার টেলিকমিউনিকেশন  কোম্পানি টাটা টেলিসার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করেন।

তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৬৮ সালে তৈরি টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস বা টিসিএস-কে ২০০৪ সালে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করা হয়।

অনেকেই জানেন না যে টাটা স্টিল নয়, টাটা গোষ্ঠীর পথচলা শুরু হয়েছিল ট্রেডিং ফার্ম হিসাবে। এরপর তৈরি হয় টাটা স্টিল। প্রযুক্তিক্ষেত্রে যেমন টিসিএস, টাটা এলোক্সি রয়েছে, তেমনই অটোমেবাইল ক্ষেত্রে রয়েছে টাটা মোটরস, জ্যাগুয়ার, ল্যান্ড রোভার।

এফএমসিজি পণ্যের বাজারেরও একটা বিরাট অংশ টাটা গোষ্ঠীর হাতেই। নুন (টাটা সল্ট) থেকে শুরু করে চা (টাটা টি, টেটলি), কফি, বিভিন্ন মশলা (টাটা সম্পন্ন), টাটা গ্লুকো, স্টারবাকস রয়েছে এই গোষ্ঠীর অধীনে।

এছাড়া টাটা পাওয়ার রয়েছে শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্রে। টাটা হোটেলসের অধীনে তাজ, ভিভান্তা যেমন রয়েছে, তেমনই বিমান পরিষেবাতেও এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা রয়েছে।

পাশাপাশি ফিন্যান্স ক্ষেত্রে টাটা এআইএ, টাটা এআইজি, টাটা মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। লাইফস্টাইল সেক্টরে টাইটান, তানিস্ক, ফাস্টট্রাক, ওয়েস্টসাইডের মতো ব্রান্ড রয়েছে।