China vs US: চিন-আমেরিকা অর্থনৈতিক যুদ্ধ! ক্ষতির অঙ্ক হিসেব করাই কঠিন
China vs US: এমনকি বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোচনায় এখন চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বই। একদিক থেকে একে যুদ্ধ বললেও ভুল হয় না। আমেরিকার আর্থিক ক্ষতির অঙ্ক যেন হিসেবের বাইরে। ঠিক কী হয়েছে?
চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসায়িক ঝামেলা। চিনের বড় সিদ্ধান্ত। যার জেরে বিশাল ক্ষতির মুখে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এর বড় প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন মুলুকের অর্থনীতিতেও। এমনকি বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোচনায় এখন চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বই। একদিক থেকে একে যুদ্ধ বললেও ভুল হয় না। আমেরিকার আর্থিক ক্ষতির অঙ্ক যেন হিসেবের বাইরে। ঠিক কী হয়েছে?
দুর্লভ খনিজ পদার্থ যেগুলো নানা সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহার হয়, সেগুলো আমেরিকাকে বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিন। যে জিনিস গুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্মার্টফোন, ইলেক্ট্রিক যান, রাডার সিস্টেম, সিটি স্ক্যানার তৈরির উপকরণও রয়েছে। এমনকি কম্পিউটার তৈরির নানা উপকরণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে চিনের তরফে।
স্বাভাবিক ভাবেই চিন ও আমেরিকার এই দ্বন্দ্ব আরও বড় আকার নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অনুমান এমনই। চিনের এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী? আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট গত ২০ নভেম্বর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, চিনে তৈরি দ্রব্যের উপর আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তারপর থেকেই এই দ্বন্দ্বের আচ ধীরে ধীরে বাড়ছিল। চিনের সিদ্ধান্তে তা বড় আকার নিতে চলেছে। যে সমস্ত দুর্লভ খনিজ পদার্থ আমেরিকায় রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিন-গ্যালিয়াম, অ্যান্টিমনি, জার্মানিয়াম।
এখানেই শেষ নয়। চিনের তরফে আরও ঘোষণা করা হয়েছে, আমেরিকার ১৩টি মিলিটারি সংস্থার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমেরিকা-তাইওয়ান সম্পর্কের জেরে এই সিদ্ধান্ত চিনের। তাইওয়ানের সঙ্গে কথাও বলতে নারাজ চিন। মার্কিন মুলুকের ১৩টি সংস্থা থেকে কোনও সামগ্রী কিনবে না চিন!