কলকাতা: দেশ বুঁদ কট্টরপন্থার নেশায়। আর দিন যত যাচ্ছে ততই যেন ধীরে ধীরে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে বাংলাদেশের। হাল বেহাল ক’দিন থেকেই। কদিন থেকেই ডলারের তুলনায় হু হু করে পড়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশি টাকার দাম। এবার একেবারে যেন সব রেকর্ড ভেঙে গেল। বাংলাদেশে ডলারের দাম সর্বোচ্চ সীমা ছড়িয়েছে। সোজা কথায়, শুধুই টালমাটাল নয়, চরম শঙ্কার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
সূত্রের খবর, সে দেশে ১৩০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে মার্কিন ডলারের। খোলা বাজারে দাম আরও বেশি। মনে করা হচ্ছে রমজানে ডলারের দাম উঠতে পারে ১৪৫-১৫০ টাকায়। তথ্য বলছে, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্য়ে সবথেকে বেশি মুদ্রাস্ফীতি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশেই।
তথ্য এও বলছে, গতবছর এই সময় বাংলাদেশে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। কিন্তু, গত অগস্টের পর থেকেই অস্থিরতা বেড়েছে বাংলাদেশ। ছাপ পড়েছে অর্থনীতিতে। সেদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কয়েকবার একাধিক ঘোষণা করলেও ডলারের দাম কমার কোনও চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে দেশে নেই কোনও পাকা প্রধামন্ত্রী। দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। সরকারও অন্তবর্তী। তার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। একইসঙ্গে দেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের খবর মুখ পড়েছে ইউনূস প্রশাসনের। ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। এমতাবস্থায়, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। কিন্তু, তা পেতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হতে পারে সে দেশের সরকারকে। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।