Zomato CEO: গোপনে বিদেশিনী বিয়ে করলেন জোমাটোর সিইও! মডেলিং ছাড়া করেন এই কাজও…
Zomato CEO: সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অন্য কোথাও দীপিন্দর বা গ্রাসিয়া বিয়ের কোনও ঘোষণা করেননি। তবে গ্রাসিয়া মুনোজ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে তিনি "এখন ভারতে বাড়িতে আছেন।" এরপর, মানিকন্ট্রোলকে এই দম্পতির ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাঁদের বিয়ের কথা জানান।
নয়া দিল্লি: নিরামিশ খাবার সরবরাহের জন্য ভিন্ন পোষাক আমদানি করে বিতর্কে জোম্যাটো। তার মধ্যেই ফাঁস হল, এই অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের সিইও, দীপিন্দর গোয়েলের বিয়ের খবর। বিয়ে অবশ্য এক-দুই দিনের মধ্যে হয়নি। মাস খানের আগেই তিনি গোপনে বিয়ে করেছেন মেক্সিকান উদ্যোগপতি গ্রাসিয়া মুনোজকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই নাকি দীপিন্দর গোয়েল এবং গ্রাসিয়া মুনোজ হানিমুন থেকে ভারতে ফিরেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অন্য কোথাও দীপিন্দর বা গ্রাসিয়া বিয়ের কোনও ঘোষণা করেননি। তবে গ্রাসিয়া মুনোজ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন যে তিনি “এখন ভারতে বাড়িতে আছেন।” দিল্লির কিছু বিখ্যাত স্থানের ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, “আমার নতুন বাড়িতে আমার নতুন জীবনের ঝলক।” এরপর, মানিকন্ট্রোলকে এই দম্পতির ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাঁদের বিয়ের কথা জানান।
ওই ব্যক্তির দাবি, এক মাস আগেই দীপিন্দর ও গ্রাসিয়ার বিয়ে হয়েছে। মেক্সিকোর বাসিন্দা দিল্লিতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে জোম্যাটোর সিইও-এর প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করার পর, তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু কে এই গ্রাসিয়া মুনোজ? জানা গিয়েছে অতীতে মডেলিং করতেন মুনোজ। ২০২২ সালে আমেরিকার মেট্রোপলিটন ফ্যাশন উইকে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি নিজের একটি বিলাসবহুল পণ্যের স্টার্টআপ সংস্থা খুলেছেন।
প্রসঙ্গত, এটা ৪১ বছরের দীপিন্দর গোয়েলের দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে কাঞ্চন যোশীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দীপিন্দর ও কাঞ্চন দুজনেই দিল্লি আইআইটির ছাত্র ছিলেন। সেখানেই প্রেম হয়েছিল তাঁদের। ২০০৭-এ গাঁটছড়া বেঁধেছিলেনতাঁরা। ২০১৩-য় দুজনের এক সন্তানও হয়। পরে অবশ্য এই দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০০৮ সালে জোমাটো সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দীপিন্দর। চিনের অ্যান্ট গ্রুপ এই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল। বর্তমানে দেশের সবথেকে এগিয়ে থাকা স্টার্টআপগুলির অন্যতম এই সংস্থা।