Government Internship: মাসে ২০ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড, তরুণদের জন্য অভিনব ইন্টার্নশিপের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Government Internship: দেশের তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। শুরু করেছেন 'বিকসিত দিল্লি চিফ মিনিস্টার ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম'। কী এই ইন্টার্নশিপ? কী লাভ হবে পড়ূয়াদের?

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত সম্প্রতি দেশের তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। শুরু করেছেন ‘বিকসিত দিল্লি চিফ মিনিস্টার ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম’। কী এই ইন্টার্নশিপ? কী লাভ হবে পড়ূয়াদের?
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হল তরুণ শিক্ষার্থীদের সরকারি নীতিনির্ধারণ, মাঠে ঘাটে কাজ করার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা। সেই সব সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদান করা।
যারা এই ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, তারা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট viksitdelhiyuva.org -এ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
স্টাইপেন্ড ও ইন্টার্নশিপের সময়সীমা
অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নির্বাচিত প্রত্যেক ইন্টার্নকে প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকার স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। ইন্টার্নশিপের সময়সীমা হবে ৩ মাস। এটি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তরুণদের জন্য একটি মূল্যবান শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা প্রদান করবে বলেও আশা।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে, যেখানে আবেদনকারীদের ৪টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই প্রশ্নগুলির মাধ্যমে প্রার্থীদের বোঝাপড়া ও আগ্রহ মূল্যায়ন করা হবে।
এরপর সরকার ৩০০ জন আবেদনকারীকে বেছে নেবে একদিনের বুট ক্যাম্প-এর জন্য। এই বুট ক্যাম্পে থাকবে –
১। ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন
২। ওয়ার্কশপ
৩। একটি রচনামূলক পর্ব (essay round)
এই প্রক্রিয়া শেষে, ১৫০ জন ইন্টার্নকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হবে। ইন্টার্নশিপ হবে তিনটি ধাপে।
১। প্রথম ধাপ – দিল্লি সরকারের কাঠামো, নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যু নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
২। দ্বিতীয় ধাপ – দিল্লির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে তৃণমূল স্তরে কাজ করবেন ইন্টার্নরা। নাগরিকদের সঙ্গে সরাসরি মিশে ঘরের কাছের সমস্যা চিহ্নিত করবেন ও সমাধান প্রস্তাব দেবেন।
৩। তৃতীয় ধাপ – ইন্টার্নরা ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে পলিসি পেপার তৈরি করবেন। সেরা প্রস্তাবগুলো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।
এই প্রোগ্রামটি শুধুমাত্র তরুণদের শাসন ব্যবস্থার অংশ করে তোলাই নয়, তাঁদের দায়িত্বশীল ও সক্রিয় নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দিকেও একটি বড় পদক্ষেপ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
