WBBSE Class 10 Result 2024: সবথেকে বেশি ফেল করল কোন জেলা? জেনে নিন আপনার জেলার ফল
WBBSE Class 10 Result 2024: পাস করা ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৭ লক্ষের বেশি। মাধ্যমিকে এখন ২৫ শতাংশ পেলেই পাস করা যায়। তবে তার থেকেও কম নম্বর যারা পেয়েছে, তাদের সংখ্যাটা কত, জেনে নিন।
কলকাতা: মাধ্যমিকে এবার পাসের হার গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। সংখ্যাটা হল ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন, শতাংশের হিসেবে ৮৬.৩১ শতাংশ। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মোট ৯ লক্ষ ২৩হাজা ০১৩। হিসেব বলছে সব মিলিয়ে ফেল বা ব্যর্থ পরীক্ষার্থী প্রায় ১৪ শতাংশ। জেলার নিরিখে কোথায় কত ফেল? ছাত্র নাকি ছাত্রী? কাদের সাফল্য বেশি?
কলকাতা- ১০৩৩৮ জন ছাত্রের মধ্য়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৫.৯ শতাংশ, ১১৯৭৯ ছাত্রীর মধ্য়ে অনুত্তীর্ণ ৭.১৪ শতাংশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ৩৬৩৪১ ছাত্রের মধ্যে এবার সফল হয়নি ৪৭২৮০
উত্তর ২৪ পরগনা- ৩৭০৬২ ছাত্রের মধ্যে ফেল ৬.৭৩ শতাংশ ৪২৩৪৮ ছাত্রীর মধ্য়ে ফেল ৯.৫৬ শতাংশ।
নদিয়া- ২২৫১১ ছাত্রের মধ্যে ব্যর্থ হয়েছে ৮.৪৩ শতাংশ আর ২৪৮৪০ জন ছাত্রীর মধ্যে ব্যর্থ হয়েছে ১১.৯৬ শতাংশ।
মুর্শিদাবাদ- ৩০০৭২ জন ছাত্রের মধ্যে ১২.১২ শতাংশ ফেল করেছে আর ৪৩০২৪ জন ছাত্রীর মধ্য়ে ফেল ২১.৭২ শতাংশ।
হাওড়া- ১৮৫৫৮ ছাত্রের মধ্যে উত্তীর্ণ হতে পারেনি ৬.০৬ শতাংশ আর ২৩৪৩০ জন ছাত্রীর মধ্যে ১০.১২ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়নি।
হুগলি- ২০৮৬৮ ছাত্রের মধ্যে ৫.৮১ শতাংশ পাশ করতে পারেনি, ২৬০০৭ ছাত্রীর মধ্যে পাশ করেনি ১০.২৫ শতাংশ।
বর্ধমান পূর্ব- ১৭৮০৩ ছাত্রের মধ্যে ফেলের হার ৯.৬৩ শতাংশ আর ২২৪৮২ জন ছাত্রীর মধ্যে ফেলের হার ১৫.৮৩ শতাংশ।
বীরভূম- ১৭১০৯ ছাত্রের মধ্যে ১৬.১৯ শতাংশ পাশ করতে পারেনি, ২১০২০ ছাত্রীর মধ্যে ২১.০১ শতাংশ পাশ করতে পারেনি।
বাঁকুড়া- ২১১১৮ ছাত্রের মধ্যে উত্তীর্ণ হতে পারেনি ১৩.৫১ শতাংশ, ২২২৭৭ ছাত্রীর মধ্যে উত্তীর্ণ হতে পারেনি ২২.৬৬ শতাংশ।
পুরুলিয়া- ১৯২৯৩ ছাত্রের মধ্যে ১৬.১৭ শতাংশ ফেল করেছে আর ২০২৫৮ ছাত্রী মধ্যে ২১.৯৯ শতাংশ ফেল করেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর- ২৩৪২০ জন ছাত্রের মধ্যে ৬.০৪ শতাংশ ব্যর্থ হয়েছে ২৬৮৩৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ৯.০৪ শতাংশ ব্যর্থ হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর- ২৭০৮৮ ছাত্রের মধ্যে ৩.২২ শতাংশ ২৯২৯৮ ছাত্রীর মধ্যে ৫.১৭ শতাংশ ফেল করেছে।
দার্জিলিং- ৬৬৮৪ ছাত্রের মধ্যে ১৬.০২ শতাংশ ও ৮২০৭ ছাত্রীর মধ্যে ১৮.৪৬ শতাংশ ফেল করেছে।
জলপাইগুড়ি- ৯৮২৪ ছাত্রের মধ্যে ২৫.২৯ শতাংশ ফেল করেছে, ১২৫১৯ ছাত্রীর মধ্যে ১৮.০৭ শতাংশ ফেল করেছে।
কোচবিহার- ১৩৪০৫ ছাত্রের মধ্যে ১৪.৭৩ শতাংশ ও ১৫৮৭১ ছাত্রীর মধ্যে ১৭.১১ শতাংশ পাশ করতে পারেনি।
উত্তর দিনাজপুর- ১১৩৯২ ছাত্রের মধ্যে ১৭.০৭ শতাংশ ও ১৭৩৯১ ছাত্রীর মধ্যে ৩০.৫৭ শতাংশ ফেল।
দক্ষিণ দিনাজপুর- ৬৭১৮ ছাত্রের মধ্যে ১৮.৬৭ শতাংশ ও ৭৮৪৫ ছাত্রীর মধ্যে ২৪.৩৬ শতাংশ ব্যর্থ।
মালদহ – ১৯০১৩ ছাত্রের মধ্যে ১৩.৫৫ শতাংশ ও ২৩৫৫৫ ছাত্রীর মধ্যে ২২.৯৬ শতাংশ সাফল্য পায়নি।
আলিপুরদুয়ার- ৬৫৮৯ ছাত্রের মধ্যে ২২.৬৯ শতাংশ ও ৮০২৯ ছাত্রীর মধ্যে ২৩.৯৯ শতাংশ পাস করেনি।
কালিম্পং- ১৩৭০ ছাত্রের মধ্যে ২.২৬ শতাংশ ও ১৬১৭ ছাত্রীর মধ্যে ২.১৬ শতাংশ অনুত্তীর্ণ।
ঝাড়গ্রাম- ৫৯৫৯ ছাত্রের মধ্যে ৯.৪৫ শতাংশ ও ৬৪৯৫ ছাত্রীর মধ্যে ১৩.৪৪ শতাংশ পাস করতে পারেনি এবার।
পশ্চিম বর্ধমান- ১২১৪১ ছাত্রের মধ্যে ১৮.৩ শতাংশ ও ১৪৫২৪ ছাত্রীর মধ্যে ২১.৯১ শতাংশ ব্যর্থ হয়েছে।
সব জেলার ফলাফলের হিসেব বলছে জলপাইগুড়িতেই ফেল করা পড়ুয়ার সংখ্যা সবথেকে বেশি।