রাঁচী: ২৪ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন হেমন্ত সোরেন। ধরে রাখলেন মসনদ। গ্রেফতারি, জেলবন্দি থাকা- কোনও কিছুই প্রভাব ফেলতে পারল না তাঁর সাফল্য-জনপ্রিয়তায়। ঝাড়খণ্ডে বিগত ২৪ বছরে এই প্রথম কোনও দল দ্বিতীয় দফায় সরকার ধরে রাখতে সফল হল। ঝাডখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে এই দুর্দান্ত ফলাফলই আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ করে দিল বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। ভোটে জিততেই শুরু হয়েছে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা। সূত্রের খবর, কংগ্রেস দাবি করছে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদের। তবে মুখের উপরে সাফ না করে দিয়েছেন হেমন্ত সোরেন।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী পদে যে হেমন্ত সোরেনই বসবেন, এই নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে জেএমএমের জোটসঙ্গী ছিল কংগ্রেস। ভোটের নিরিখে জেএমএমেরই পাল্লা ভারী হলেও, জোটসঙ্গী হিসাবে মন্ত্রীত্বে ভাগ চাইছে কংগ্রেস। তাও আবার এমনি কোনও পদ নয়। সোজা উপমুখ্যমন্ত্রীর পদই চেয়ে বসেছে কংগ্রেস, এমনটাই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, হেমন্ত সোরেন কংগ্রেসের এই দাবি সাফ খারিজ করে দিয়েছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হেমন্ত সোরেন কংগ্রেসকে বলেছেন, আগে জোটের যে ব্যবস্থা ছিল, সেইভাবেই চলতে। অযথা যেন নতুন দাবি আনা না হয়। তাহলে আগের মতোই শক্তিশালী থাকবে জোট।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে দলীয় বৈঠকের পর সুবোধ কান্ত সহায়ের মাধ্যমে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস, যা খারিজ করে দিয়েছেন। এবার দেখার বিষয় যে দুই দলের মধ্যে কী সমঝোতা হয় এবং কংগ্রেসকে আদৌ মন্ত্রিত্ব দেন কি না হেমন্ত সোরেন।
প্রসঙ্গত, ৮১ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে এবার হেমন্ত সোরেনের জেএমএম ৩৪টি আসনে জিতেছে। শরিক কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ৪টি আসনে জিতেছে। সিপিআই(এমএল) (এল) পেয়েছে ২টি আসন। অন্যদিকে, এনডিএ জোটকে ২৪টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি ২১টি আসনে জিতেছে, এজেএসইউ, এলজেপি ও জেডিইউ একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।