চন্দননগর : ভোটের আগেই প্রয়াত চন্দননগর পুর নিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী। মৃত ওই বিজেপি প্রার্থীর নাম গোকুলচন্দ্র পাল (৭৮)। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। আজ শুক্রবার হঠাৎ করেই গোকুলবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বুকে ব্যাথা আর সঙ্গে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে গোকুলবাবুকে চন্দননগর এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ। গাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা গোকুলচন্দ্র পালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। ইতিমধ্যে ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লিখেছেন, ”চন্দননগর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী ও প্রবীণ কার্যকর্তা গোকুল চন্দ্র পালের অকাল প্রয়াণে আমরা শোকাহত”। তাঁর প্রয়াণে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হল। যদিও এখনও এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
গোকুলচন্দ্র পাল দীর্ঘদিন বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। এবার তাঁকেই চন্দননগর পুরসভায় বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়। নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জোরদার প্রচারে নামেন গোকুলচন্দ্র পাল। কিন্তু তাঁর সঙ্গ দেয়নি বয়স।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে ২২ জানুয়ারির ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। আর এর মধ্যেই প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই ওয়ার্ডের ভোট বন্ধ হয়ে যাবে কিনা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ভোট পিছিয়ে গেলেও যেহেতু আগের নিয়ম বলবৎ আছে তাই প্রার্থীদের মনোনয়ন শেষ হয়েছে। স্ক্রুটিনীর পর প্রত্যাহারের দিনও পেরিয়ে গিয়েছে। তাই এবার নতুন কেউ প্রার্থী হতে চাইলে সে কি করে মনোনয়ন করবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
যদিও এই প্রসঙ্গে হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া জানিয়েছেন, এখনও নির্বাচন বেশ কয়েকটি দিন দেরি আছে। কমিশনকে প্রার্থীর মৃত্যুর সংবাদ দেওয়া হবে বলে জানান জেলাশাসক। শুধু তাই নয়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে। যে ভাবে নির্দেশ দেবে কমিশন সেইমত কাজ হবে বলেও জানিয়েছেন পি দীপাপ প্রিয়া।
আরও পড়ুন : Municipality Election: ভোটারদের সাহস জোগাতে কী কী করবে পুলিশ, তালিকা দিল নির্বাচন কমিশন
আরও পড়ুন : Diamond Harbour Model: নমুনা পরীক্ষায় লম্বা লাফ! ‘ডায়মন্ড হারবার মডেলে’ মান্যতা স্বাস্থ্য ভবনের?