কলকাতা : ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে (Municipal Elections 2022) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলে ক্ষতি কী – পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। মামলার রায়দান স্থগিত রাখলেন প্রধান বিচারপতি। ওয়েবসাইটেই দেওয়া হবে মামলার রায়। উল্লেখ্য, ১০৮ টি পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক এবং সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে বিজেপি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিল। সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারছে না, তাঁদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সব জায়গাতেই যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।
পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে আদালতে। মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি বলেন, কিছুদিন আগেও দেখা গিয়েছে কলকাতা পুরভোট এবং তার পরবর্তী সময়ে চার পুরনিগমের নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানানো হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হলে অসুবিধা কোথায়? কোনও ক্ষতি তো নেই। সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, মামলায় এর পাশাুাশি আরও একটি প্রসঙ্গ উঠে আসে। অভিযোগ করা হয়েছিল দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো বিভিন্ন প্রকল্পগুলি নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনও পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি ছিল, এই প্রকল্পগুলির কোনওটাই নির্বাচন সংক্রান্ত নয়। বাজেটে এগুলি উল্লেখিত হয়েছে, সেই মতো এই বিষয়গুলি চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি রাখা হয়, তাহলে কোনও ক্ষতি নেই। এর পাশাপাশি, আদালত জানতে চেয়েছে, যেহেতু নির্বাচন কমিশন একটি স্বতন্ত্র সংস্থা, তাই তাকে কি আদালত এভাবে নির্দেশ দিতে পারে?
সেক্ষেত্রে বিজেপির আইনজীবী সম্প্রতি ত্রিপুরার নির্বাচনের প্রসঙ্গের কথাও তুলে ধরেন। তিনি আদালতে জানান, ত্রিপুরায় ভোটের সময় কেবলমাত্র আদালতের নির্দেশেই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অতি দ্রুত এই মামলার রায় ঘোষণা করবে কলকাতা হাইকোর্ট।