Municipal Elections: ১০৮ পুরসভার নির্বাচন হবে নতুন ভোটার তালিকা ধরেই, কতটা প্রভাব ফেলবেন নতুন ভোটাররা?
State Election Commission: কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি ধরে যাঁদের ১৮ বছর বয়স হয়েছে, যাঁরা ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছেন, তাঁরা সকলেই ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকারী।
কলকাতা: ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন (Municipal Elections 2022) হবে ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত ভোটার তালিকা ধরেই। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। সেই মতো ভোটার তালিকা অ্যাডপটেশনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগর পুরসভার নির্বাচনে ব্যবহার হবে ১ নভেম্বর প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা (Voter List)। তা নিয়ে বিরোধীরা বারবার প্রশ্ন তুলেছিল। বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, তরুণ ভোটারদের বাদ রেখে নির্বাচন করে আদতে শাসকদলের সুবিধা করে দিতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ, কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি ধরে যাঁদের ১৮ বছর বয়স হয়েছে, যাঁরা ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছেন, তাঁরা সকলেই ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকারী।
কতটা বদল রয়েছে নতুন তালিকায়?
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত ভোটার তালিকায় একলাফে অনেকটাই বেড়েছে নতুন ভোটারের সংখ্যা। আগের তালিকা অনুযায়ী, নতুন ভোটারের শতকরা হার ছিল ১.১২। নতুন তালিকা (৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী মোট ভোটারের ২.৩৮ শতাংশ নতুন ভোটার। অর্থাৎ, প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে নতুন ভোটারের সংখ্যা। ৫ জানুয়ারির ভোটার তালিকায় রাজ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে ১৬ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি। সব মিলিয়ে গত তালিকার তুলনায় ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ১০ লাখেরও বেশি।
কতটা প্রভাব ফেলবেন নতুন ভোটাররা ?
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতো ৫ জানুয়ারির ভোটার তালিকা অনুযায়ী, বাংলায় মোট ভোটার ৭ কোটি ৪৩ লাখ, তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ কোটি ৭৮ লাখ এবং মহিলা ভোটার ৩ কোটি ৬৪ লাখ। এছাড়াও ১ হাজার ৬৪২ জন ভোটার রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের। রাজ্যের চার পুরনিগম – শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগরে নির্বাচন হবে আগের তালিকা (১ নভেম্বর অনুযায়ী)। এক্ষেত্রে অবশ্য এই নতুন ভোটাররা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অর্থাৎ, নতুন তালিকায় অনেকটাই বদল হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তার প্রতিফলন ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে দেখা যাবে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে থাকছেন রাজ্য রাজনীতির বিশ্লেষকরা।