কলকাতা : এবার পুরভোটে একাই লড়ছে কংগ্রেস (Congress)। বিধানসভার পথে না হেঁটে এবার বামেদের বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিয়েছে তারা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) স্পষ্ট জানিয়েছেন, ক্ষমতা থাকলে সব কেন্দ্রেই প্রার্থী দিতেন তাঁরা। ক্ষমতা নেই বলে দেননি। তবে বামেদের জন্য যে কোনও আসন ছাড়া হয়নি, তা জানিয়ে দিয়েছেন অধীর। একদিকে যখন শাসক দলের প্রার্থীরা দু বেলা পথে নেমে প্রচার চালাচ্ছে, তখন পিছিয়ে নেই বিরোধীরাও। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বামেরাই প্রথম ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। এবার একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নিয়ে ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। শহরকে প্রযুক্তি দিয়ে মুড়ে ফেলাই তাঁদের মূল লক্ষ্য।
মূলত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে শহরের উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস। রয়েছে বস্তি উন্নয়ন, পরিবেশ ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, নারী ও শিশু সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু তাই নয়, সরকারি স্কুলগুলিকে স্মার্ট স্কুলে রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কর্মসংস্থানের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বামেদের ইস্তেহারে দেখা গিয়েছে, গুরুত্ব পেয়েছে পরিবেশ। সেই ইস্তেহারেও ছিল প্রযুক্তির ছোঁয়া। পরিবেশ রক্ষায় গ্রিন অ্যাপ চালু করার কথা বলেছে বামেরা। আর এবার কংগ্রেস বলল স্মার্ট স্কুলের কথা। ইস্তেহারে বলা হয়েছে, সরকারি স্কুলগুলোকে ক্রমে স্মার্ট স্কুলে রূপান্তরিত করা হবে, থাকবে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা। স্কুলের আশে পাশে ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি করার কথা বলেছে কংগ্রেস। বিনামূল্যে কম্পিউটার ক্লাসের ব্যবস্থাও করা হবে।
কংগ্রেসের দাবি, তারা পুরসভায় বোর্ড গঠন করলে যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানে বিশেষ জোর দেবে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, কলকাতা পুর নিগমে ২৮ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। সেইসব শূন্যপদ দু’বছরের মধ্যে পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ীকরণের কথাও বলা হয়েছে, যাতে তারা পিএফ, গ্র্যাচুইটির মতো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে।
নারী ও শিশু সুরক্ষা কংগ্রেসের ইস্তেহারে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। নারী পাচার ও শিশু শ্রম বন্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার হকার সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের ইস্তেহারেও রয়েছে হকার পুনর্বাসন, হকার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার মতো বিষয়। দাবি করা হয়েছে, বোর্ড গঠন করতে পারলে হকারদের দেওয়া হবে আধুনিক মোবাইল ভেন্ডিং কিয়স্ক। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কলকাতায় পানীয় জলের ব্যবস্থা ও জল জমার সমস্যার বিষয়ে এদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অধীর চৌধুরী। ইস্তেহারেও রয়েছে তার প্রতিফলন। রয়েছে বস্তি উন্নয়নের কথা। উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতায় বস্তিতে বসবাস করেন প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। তাঁদের জীবনযাত্রার উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন : Weather Update: আপাতত ছুটি বৃষ্টির, জাঁকিয়ে পড়বে ঠান্ডা, লেপ-কম্বল তৈরি আছে তো?