কলকাতা : কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে সিপিআইএম(CPIM) এবং সিপিআইয়ের (CPI) জোড়া মামলা। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় ভোট লুঠ হয়েছে। তার সঠিক তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) বা কোন নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থা দ্বারা স্বচ্ছভাবে তদন্ত করানো হোক। যে বুথগুলিতে অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে, সেই সমস্ত বুথের ভোট বাতিলের আবেদনও জানানো হয়েছে হাইকোর্টে।
এর পাশাপাশি সামনে রাজ্যে বাকি এলাকাগুলিতেও পুরভোট রয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলিতে বুথ থেকে ৩০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করার আবেন জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কোনও বুথ থেকে বিরোধী এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলে সেই বুথের ভোট যাতে বাতিল করা হয়, সেই কথাও উল্লেখ করেছেন মামলাকারী।
আগামী নির্বাচনে ভোটারদের মনোবল বাড়ানোর জন্য ভোটগ্রহণের সাতদিন আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি বুথে সিসিটিভি সচল আছে কিনা, সেগুলো যথাযথ কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে বলেও আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী।
পুরভোটের ফলাফল আসার পর থেকেই ভোটকে প্রহসন বলে দাবি করছে বাম ও কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আমার একটাই প্রশ্ন, এটা করার কী দরকার ছিল? সবাই জানত আপনি জিতবেন। আমরাও জানতাম। এটা না করলেও চলত। সিপিএম নেতা রবীন দেবও দাবি করেন, একটা ওয়ার্ডে এত বেশি ভোট পাওয়া স্বাভাবিক বিষয় নয়।
বিশেষ করে নির্দিষ্ট কিছু ওয়ার্ডে শাসক দলের প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান এতটাই বেশি, যা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যেমন, ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফৈয়াজ আহমেদ খান জিতেছেন ৬২ হাজার ভোটে, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে অন্যন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন ৩৭ হাজার ভোটে, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে জীবন সাহার ভোটের ব্যবধান ২৮ হাজার, ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে শামস ইকবাল জিতেছেন ২৪ হাজার ভোটে, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পরেশ পাল জিতেছেন ২০ হাজার ভোটে, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিনু বিশ্বাসেরও জয়ের ব্যবধান ২০ হাজার, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে আশুতোষ দাস এবং ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের ক্ষেত্রেও ভোটের ব্যবধান ২০ হাজারের কিছু বেশি। এ ছাড়া ১৯ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অমল চক্রবর্তী ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের মনজর ইকবাল।