Rahul Gandhi assets: কংগ্রেসের ভোটের খরচ কি একাই দিতে পারেন রাহুল গান্ধী? কত টাকা আছে তাঁর?
Rahul Gandhi Assets: ভোটের আগে রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতারা বারংবার অভিযোগ করেছেন, ভোট লড়ার মতো অর্থই নেই তাদের হাতে। আয়কর দফতর থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ায়, ভোটের বিভিন্ন ব্যয়ভার বহন করতে পারছে না শতাব্দী প্রাচীন দলটি। দলের যেখানে এই হাঁড়ির হাল, সেখানে কত সম্পত্তির মালিক রাহুল গান্ধী? জানেন?
নয়া দিল্লি: দীর্ঘ টালবাহানার পর উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। রায়বরেলির পাশাপাশি তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেরলের ওয়ানাড় কেন্দ্র থেকেও। ২০১৯-এ উত্তর প্রদেশের আমেঠি কেন্দ্রে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন রাহুল। মুখ রক্ষা করেছিল ওয়ানাড়। এবার ওয়ানাড়ের পাশাপাশি আর আমেঠিতে নয়, রাহুল প্রার্থী হয়েছেন রায়বরেলিতে। যে কেন্দ্রে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন সনিয়া গান্ধী। ২৬ এপ্রিল ওয়ানাড়ের ভোট হয়ে গিয়েছে। রায়বরেলিতে ভোটগ্রহণ হবে পঞ্চম দফায়, ২০ মে। ভোটের আগে রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতারা বারংবার অভিযোগ করেছেন, ভোট লড়ার মতো অর্থই নেই তাদের হাতে। আয়কর দফতর থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ায়, ভোটের বিভিন্ন ব্যয়ভার বহন করতে পারছে না শতাব্দী প্রাচীন দলটি। দলের যেখানে এই হাঁড়ির হাল, সেখানে কত সম্পত্তির মালিক রাহুল গান্ধী? আসুন জেনে নেওয়া যাক –
ওয়ানাড় এবং রায়বরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়, মনোনয়ন পত্রের সঙ্গে তাঁর আয়-ব্যয়ের যে হলফনামা জমা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী, সেই হলফনামা অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর মোট সম্পদের মূল্য ২০ কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে, বিভিন্ন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৯.২৪ কোটি টাকার বেশি। আর তাঁর স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১১.১৪ কোটি টাকার। এর পাশাপাশি তাঁর লায়াবিলিটি বা ঋণ রয়েছে ৪৯.৭৯ লক্ষ টাকার।
হলফনামায় রাহুল জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ১৫ মার্চে তাঁর হাতে নগদ ছিল ৫৫,০০০ টাকা। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা আছে ২৬ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫৭ টাকা। ইয়ং ইন্ডিয়ান সংস্থার ১০০ টাকা মূল্যের ১৯০০ট ইকুইটি শেয়ার রয়েছে রাহুল গান্ধীর নামে। সব মিলিয়ে অর্থের পরিমাণ ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া, এশিয়ান পেইন্টস, বাজা ফিনান্স, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইনফোসিস, আইটিসি, নেসলে ইন্ডিয়া, টিসিএস-এর মতো বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে তিনি ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৫১৯ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। মিউচুয়াল ফান্ডে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে ৩ কোটি ৮১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৭২ টাকার। এছাড়া, সভেরিন গোল্ড বন্ডে রাহুল গান্ধী বিনিয়োগ করেছেন ১৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৪০ টাকার। এসবিআই-এর রেইল ভবন শাখায় তাঁর পিপিএফ অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৬১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪২৬ টাকা। এর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর ৪ লক্ষ ২০ হাজার ৮৫০ টাকার সোনার অলঙ্কার রয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য, ৯ কোটি ২৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৬৪ টাকা।
নয়া দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর নামে কিছু কৃষি জমিও রয়েছে। হলফনামায় কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, এই সকল কৃষিজমি তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। সব মিলিয়ে এই কৃষিজমির বাজারমূল্য ২ কোটি ১০ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৯৮ টাকা। গুরুগ্রামে ৫৮৩৮ স্কোয়ারফুটের একটি বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে রাহুল গান্ধীর। ২০১৪ সালে এই ভবনটি কিনেছিলেন তিনি। দাম পড়েছিল ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ ৩ হাজার ৯৭৭ টাকা। বর্তমানে ভবনটির বাজারমূল্য বেড়ে হয়েছে ৯ কোটি ৪ লক্ষ টাকার বেশি। ২০২৩ সালে সাময়িকভাবে সাংসদ পদ খোয়ানোর পর, তড়িঘড়ি তাঁকে সরকারি বাংলো ছাড়তে হয়েছিল। সেই সময় তিনি কোথায় থাকবেন, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। আসলে, বাণিজ্যিক ভবনটি থাকলেও, রাহুল গান্ধীর নামে কোনও বসতবাড়ি নেই।