Municipal Elections 2022: ভোটের আগেই করোনা আক্রান্ত পাঁচ পর্যবেক্ষক, কোভিড বিধি নিয়ে আরও কড়া কমিশন
Municipal Elections 2022: করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক হল বুধবার।
কলকাতা : আসন্ন চার পুরসভার নির্বাচন নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসেছিল কমিশন। সেই বৈঠকে জানা গিয়েছে, ভোটের আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ জন পর্যবেক্ষক। সেই জায়গায় নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। কোভিড বিধি নিয়ে আরও কড়া বার্তা দিল কমিশন। খোলা মাঠে সভা করার ক্ষেত্রে ৫০০ জনের বদলে ২০০ জনকে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
মোট ১৭ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে ছিল ৫ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক এবং ১২ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক ছিলেন। কমিশন সূত্রে খবর, ১২ জন সাধারণ পর্যবেক্ষকের মধ্যে পাঁচ জনই করোনা আক্রান্ত। অথচ বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁদের কাজে নামার কথা। এই অবস্থায় নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কমিশন।
কড়া কোভিড বিধি
কোভিড বিধি নিয়েও অবস্থান আরও কড়া করতে চলেছে কমিশন। কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই কোভিড বিধি সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নির্বাচনী সভায় জমায়েত আরও কমানোর কথা ভাবছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গাইডলাইনে খোলা মাঠে সভা করার ক্ষেত্রে ৫০০ জনে ছাড়পত্র দিয়েছিল কমিশন। সেই সংখ্যাটাই এবার আরও কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ দিনের বৈঠকে ওই সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কমিশন সূত্রের খবর, ২০০ জনকে নিয়েই সভা করতে হবে রাজনৈতিকদলগুলিকে, এমন নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
ঢাক ঢোল বাজিয়ে প্রচার! রিপোর্ট চাইল কমিশন
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে প্রার্থীরা কোভিড বিধি মানছেন না। চার পুরনিগমেই একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী একেবারে ঢাক ঢোল বাজিয়ে প্রচার করেছেন, সেই ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই ঘটনায় এবার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল কমিশন। শুধু তাই নয়, কোভিড বিধি যদি প্রার্থীরা না মানে তাহলে বিপর্যয় আইনেও মামলা করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। এছাড়াও বেশ কিছু কোভিড বিধিতেও বদল আনা হচ্ছে।
রাজ্য পুলিশেই আস্থা
আসন্ন পুরসভার ভোটে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল না কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা যে রিপোর্ট দেবে তার উপরই নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন কি না। আপতত কমিশন সূত্রে খবর, প্রতি ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। ফলে বলা যায়, আপাতত রাজ্য পুলিশের উপরই ভরসা করছে কমিশন। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা একটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা।
আরও পড়ুন : Covaxin: কোভ্যাক্সিনের পর প্রয়োজন নেই প্যারাসিটামল, ব্যাথার ওষুধ; বিবৃতি ভারত বায়োটেকের