চণ্ডীগঢ় : ভোটমুখী পঞ্জাবে (Punjab Assembly Election 2022) চড়ছে রাজনীতির পারদ। শাসক দল কংগ্রেসকে জোর টক্কর দিতে তৈরি আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল রবিবার তাদের দশম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে পঞ্জাব নির্বাচনের জন্য। তালিকায় জায়গা পেয়েছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন বিধায়ক যোগিন্দর সিং মান। শুক্রবারই তিনি কংগ্রেস থেকে আম আদমি পার্টিতে এসে যোগ দিয়েছিলেন। পঞ্জাবের ফাগওয়ারা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছেন কেজরিওয়াল। তফসিলি জাতির ভোটব্যাঙ্কের উপর ভাল দখল রয়েছে যোগিন্দরের। সম্ভবত, সেই রাজনৈতিক সমীকরণ থেকেই তাঁকে ফাগওয়ারার প্রার্থী করা হয়েছে। তফসিলি জনজাতির মধ্যে যথেষ্ট প্রভাবশালী নেতা যোগিন্দর সিং মান। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের উপর বেশ বিরক্ত ছিলেন তিনি। বিশেষ করে স্কলারশিপ কেলেঙ্কারির পিছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন যোগিন্দর। এর পাশাপাশি ফাগওয়ারাকে একটি পৃথক জেলা করার জন্য দীর্ঘদিনের যে দাবি উঠে আসছে, তারও কোনও মীমাংসা না হওয়ায় কংগ্রেস ছেড়েছেন তিনি।
আম আদমি পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি কংগ্রেস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্জাব এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে একটি মর্মে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ফাগওয়ারার তিনবারের বিধায়ক আক্ষেপ প্রকাশ করে লিখেছেন, তাঁর স্বপ্ন ছিল, তিনি কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবেই মারা যাবেন। উল্লেখ্য, যোগিন্দর সিং পঞ্জাবের তিন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিং, রাজিন্দর কৌর ভাট্টল এবং অমরিন্দর সিং – তিন জনের মন্ত্রিসভাতেই কাজ করেছেন। সোনিয়াকে পাঠানো চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, “কংগ্রেস পোস্ট-ম্যাট্রিক বৃত্তি প্রকল্পের দোষীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। আমার বিবেক আমাকে এভাবে থাকতে সায় দিচ্ছে না।”
সোমবারই আম আদমি পার্টির তরফে (AAP) পঞ্জাবের নির্বাচনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে। সূত্র মারফত, এমনটাই জানা গিয়েছে। রবিবার টিম কেজরিওয়ালের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য কাকে বেছে নেওয়া হবে, তার জন্য একটি জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল আম আদমি পার্টি। এখনও পর্যন্ত সেই সমীক্ষার জন্য প্রায় ১৫ লাখ প্রতিক্রিয়া পেয়েছে দল। আম আদমি পার্টির বিধায়ক হরপাল চিমা জানিয়েছেন, “পঞ্জাবের প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের মতামত দিয়েছেন। এই ১৫ লাখ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ৭ লাখ ফোন এসেছে, ৫ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ এসেছে এবং ৩ লাখ ভয়েস ম্যাসেজ এসেছে। মানুষের মধ্যে এই জনমত সমীক্ষার ব্যাপক সারা পাওয়া গিয়েছে।”