Punjab Assembly Election 2022 : মানুষের ভালোবাসার সঙ্গে নোটিস ফ্রি! বিধিভঙ্গে কমিশনের প্রশ্নের মুখে ভগবন্ত
Bhagwant Mann : সম্প্রতি আপের তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ভগবন্ত মানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। গতকাল প্রচারে সু
নয়া দিল্লি : কয়েক সপ্তাহ পরেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। ২০ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই জোর কদমে প্রচারাভিযানে নেমে পড়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। এই আবহে আজ নির্বাচন কমিশন আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মানকে (Bhagwant Mann) নোটিস পাঠাল। এনডিটিভি-র প্রতিবেদন সূত্রে, রবিবার ভগবান্ত মান পঞ্জাবের সাংরুর জেলায় প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই করোনাবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে মানের বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বলে জানা গিয়েছে।
শিয়রেই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি আপের তরফে ভগবন্ত মানকে এই নির্বাচনে তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর গতকাল পঞ্জাবে আপের প্রধান ভগবন্ত মান সাংরুর থেকে তাঁর নির্বাচনী প্রচারের শুভারম্ভ করেন। তিনি সাংরুর জেলার ধুরি (Dhuri) বিধানসভা আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বর্তমানে তিনি সাংরুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে আপের একজন সাংসদ। জানা গিয়েছে, গতকাল সাংরুর এ তাঁর প্রচার অভিযানের সময় সেখানকার অনেক সংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হয়েছিলেন। বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয়রা ভিড় করে তাঁকে স্বাগত জানান, স্লোগান তোলেন এবং ফুল ছড়ান। কিন্তু দল দাবি করেছে তাঁরা কেবলমাত্র কয়েকজন স্থানীয়দেরই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু ভগবন্তের সেখানে যাওয়ার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়ার পর অনেক বেশি সংখ্যক জনতা সেখান উপস্থিত হয়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারে এত ভিড় হওয়ার অভিযোগেই আজ ভগবন্ত মানকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
ਮੇਰੀਆਂ ਰੱਬ ਰੂਪੀ ਮਾਂਵਾਂ ਦੀਆਂ ਦੁਆਵਾਂ ਕਰਨਗੀਆਂ ਹਰ ਮੈਦਾਨ ਫ਼ਤਿਹ….. pic.twitter.com/USVYV4srNi
— Bhagwant Mann (@BhagwantMann) January 23, 2022
গত ৮ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এর পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন করানোর জন্য পুনর্বিবেচিত নির্দেশিকা প্রকাশ করে। প্রথমে ১৫ জানুয়ারি অবধি কোনও রাজনৈতিক শোভাযাত্রা ও প্রচার মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে ১৫ জানুয়ারি পুনরায় পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর নির্বাচন কমিশন এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ জানুয়ারি অবধি বর্ধিত করে। তবে কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলি সর্বোচ্চ ৫ জন নিয়ে যেতে পারবে। এবং কোনও পেক্ষাগৃহে রাজনৈতিক সভা করতে পারলেও তা করতে হবে পেক্ষাগৃহের ৫০ শতাংশ আসনের সংখ্যক জনগণ নিয়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে নির্বাচন কমিশন সমাজবাদী পার্টিকেও নোটিস পাঠিয়েছিল। লখনউয়ের দলীয় অফিসে কোভিডবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এই নোটিস পাঠানো হয়েছিল। পঞ্জাবে এক দফাতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১৭ আসনের এই বিধানসভায় নির্বাচন হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। ১০ মার্চ হবে ভোট গণনা। তারপরই জানা যাবে চূড়ান্ত ফলাফল।
আরও পড়ুন : Shiv Sena: ‘প্রধানমন্ত্রীও হতে পারতেন শিব সেনার কোনও নেতা… আমরা ওদের ছেড়ে দিয়েছি’