চণ্ডীগঢ়: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন তার আগেই নতুন ইস্যুতে তপ্ত পঞ্জাবের রাজনীতি। আজ দীর্ঘদিন পর পঞ্জাবে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি এমন হয় যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মত একজন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির কনভয় দীর্ঘ ১৫-২০ মিনিট ধরে একটি ব্রিজে আটকে থাকে। নিরাপত্তার খাতিরে নিজের কর্মসূচি বাতিল করে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই নিয়ে রীতিমতো সরগরম চণ্ডীগঢ়রে রাজনীতি। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্জাব সরকারকে আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কোনও গাফিলতি ছিল না, এমনটাই জানালেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি। চন্নি জানিয়েছেন তাঁর আফসোস হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে ফিরে যেতে হয়েছে।
কী বললেন চন্নি
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চন্নি। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, “বিক্ষোভকারীরা যেখানে বসেছিলেন তার অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয় থামিয়ে দেওয়া হয়। কোনও ধরনের বিক্ষোভ বা অবরোধ তুলতে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। প্রধানমন্ত্রীকে এই কথা জানানো হয়েছিল, এবং তাঁকে অন্য রাস্তা দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।” এর পাশাপাশি চন্নি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে কোনও পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হবে না।
কী ঘটেছিল আজ
সকালেই ভাটিন্ডাতে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। সেখান থেকে হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। হেলিকপ্টার করে সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা না থাকায় সড়ক পথেই হুসেনিওয়ালার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় যে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী অবরোধ করেছে। ওই ব্রিজের উপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নে ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি সম্পর্কে আগেভাগেই পঞ্জাব সরকারকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। রাস্তায় কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজ্য সরকারের পুলিশের উচিত ছিল বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা। দৃশ্যতই, ওই ব্রিজে বাড়তি কোনো পুলিশ বাহিনী লক্ষ্য করা যায়নি। পঞ্জাব সরকারের কাছে এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে।”
আরও পড়ুন : Omicron detecting RTPCR Kit: এবার আরটিপিসিআর পরীক্ষাতেই জানা যাবে ওমিক্রন আক্রান্ত কি না, রিপোর্ট ৪ ঘণ্টায়
আরও পড়ুন: PM’s Security Lapse: ‘ভাটিন্ডা পর্যন্ত বেঁচে ফিরতে পেরেছি, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবেন’