Municipal Elections 2022: ১৮ প্রার্থী, অথচ জিততে হবে ১৭ জনকে! কান্দিতে ভোটের আগে ফের বেআব্রু তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

Kandi TMC : বিধায়ক অবশ্য সরাসরি কোনও প্রার্থী বা নেতার নাম করেননি। তবে কান্দিতে এখন জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে, বিধায়কের নিশানায় ছিলেন কান্দি পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মুনমুন সিনহা।

Municipal Elections 2022: ১৮ প্রার্থী, অথচ জিততে হবে ১৭ জনকে! কান্দিতে ভোটের আগে ফের বেআব্রু তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল
কাঁন্দির পুরভোটের আগে ফের বেআব্রু দলের কোন্দল (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 22, 2022 | 10:54 PM

কান্দি : আবারও বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের। কান্দি পুরসভার ভোটের (Municipal Elections 2022) প্রচারে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ূন কবীর (Humayun Kabir)। কান্দি পুরসভায় (Kandi Municipality) মোট ওয়ার্ড রয়েছে ১৮ টি এবং স্বাভাবিকভাবে সবগুলিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অথচ, কেবলমাত্র ১৭ জন প্রার্থীকেই জেতানোর জন্য আবেদন করেন তিনি। সেই সঙ্গে তৃণমূলের একজন প্রার্থীকে কেউ ভোট দেবে না বলেও ওই সভামঞ্চ থেকে মন্তব্য করেন তিনি। বিধায়ক অবশ্য সরাসরি কোনও প্রার্থী বা নেতার নাম করেননি। তবে কান্দিতে এখন জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে, বিধায়কের নিশানায় ছিলেন কান্দি পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মুনমুন সিনহা। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের এ হেন মন্তব্যের পর ফের একবার বেআব্রু তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল।

মঙ্গলবার কান্দিতে নির্বাচনী প্রচারে এস হুমায়ূন কবীর বলেন, “সত্যের প্রতীক চিহ্নে ১৭ জনকেই বিজয়ী করবেন। আর এই ১৭ জনের মধ্যে কে চেয়ারম্যান হবেন, কে ভাইস চেয়ারম্যান হবেন – তা বড় বিষয় নয়। যে ১৭ জন জিতবেন, সেই ১৭ জনই চেয়ারম্যান, ১৭ জনই ভাইস চেয়ারম্যান। আর তাঁদের নেতৃত্বে দেবেন (কান্দির বিধায়ক) অপূর্ব সরকার। কান্দির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই মহকুমার দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন অপূর্ব সরকার। আমরাও তাঁর সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বহরমপুরে বসে, কখনও কান্দিতে বসে মুর্শিদাবাদ জেলার উন্নয়নের কথা চিন্তা ভাবনা করেছি।”

অপূর্ব সরকার প্রসঙ্গে হুমায়ূন কবীর আরও বলেন, “এবারে দল তাঁকে পুর নির্বাচনে লড়তে দেয়নি। কোনও দুঃখ নেই তার জন্য। তিনি কান্দির নেতৃত্ব দেবেন। কান্দির অভিভাবক হিসেবে থাকবেন।” এরপরই তিনি বলেন, “যে ১৮ জন এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আমরা জানি আমাদের একজন হয়ত নাও জিততে পারেন। কোন সিটটা না জিততে পারে, কান্দির মানুষ সেই বিষয়ে অবগত আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই আমরা ১৭ টা (ওয়ার্ড) জিতবই, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।”

কিন্তু কেন ১৮ জনের বদলে কেবল ১৭ জনের জন্যই ভোট চাইতে দেখা গেল বিধায়ককে? স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো শোনা যায়,  ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সিনহা হলেন শান্তনু সেনের ঘনিষ্ঠ। এই শান্তনু সেন ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে কান্দির প্রার্থী হয়েছিলেন। আবার দলের অন্দরে অপূর্ব সরকার এবং শান্তনু সেন – তৃণমূলের দুই পৃথক গোষ্ঠী বলে পরিচিত। শুধু টিকিট নিয়েই নয়, এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এক চিড় ধরেছে। এবার ভোটের মুখে সেই গোষ্ঠী কোন্দলের কথাই ফের একবার উঠে এল হুমায়ূন কবীরের মন্তব্যে।

আরও পড়ুন : Municipal Elections : বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ? হাইভোল্টেজ পুরভোটের আগে তপ্ত কাঁথির রাজনীতি