লখনউ: আজ শনিবার, ভোটমুখী উত্তর প্রদেশের কৃষকদের কৃষিকাজে বিশেষ সাহায্য করতে সরযূ নহর জাতীয় প্রকল্পের (Saryu Nahar National Project) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে নাম না করে বিরোধীদের আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি অনুষ্ঠান থেকে রাজনীতির কথা বলার জন্য এবার প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সরকারি মঞ্চ থেকে বিরোধীদের কেন আক্রমণ করা হবে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অখিলেশ।
অখিলেশের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে জমায়েত করতে সরকারি বাসে করে লোক আনা হয়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানস্থল থেকেই বিরোধীদের আক্রমণ করেন বিজেপি নেতারা। তিনি বলেন, “অতীতে কী কোনও রাজনৈতিক দল এইভাবে সরকারি বাস ব্যবহার করেছে? কোনও জেলা আধিকারিক চিঠি লিখে বাসের বন্দোবস্ত করার আবেদন জানিয়েছেন? সরকারি অনুষ্ঠানের নামে রাজনৈতিক সভা হচ্ছে, তাই বিজেপিকে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করতে দেখা যাচ্ছে না।”
বিজেপির বিরুদ্ধে সরকারি অনুষ্ঠানের রাজনীতিকরণ নিয়ে বিজেপির অভিযোগ এই প্রথম নয়। গত মাসেও দলের একটি সভা থেকে একই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মুলায়ম পুত্র। বলরামপুরে নয়া প্রকল্প উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “সরকারি টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। আগের সরকার গাফিলতি না করলে অনেক দিন আগে থেকেই কৃষকরা এর উপকার পেতেন।”
অতীতে অখিলেশ বারবার বলেছিলেন, সমাজবাদী সরকারের শিলান্যাস করা প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করে কৃতিত্ব নিচ্ছে বিজেপি। অখিলেশের সেই দাবিকে নাম না করে কটাক্ষ করেন মোদী। তিনি বলেন, “আমি দিল্লি থেকে এখানে আসার বিমানে ওঠার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম। মনে হয়েছিল অভ্যেস মত কেউ বলবে এই প্রকল্পের শিলান্যাস আমরা করেছি।” সাংবাদিক বৈঠকে অখিলেশ বলেন, “দুই সরকারে মধ্যে তফাৎ স্পষ্ট। বিজেপি ২০১৭ সালের নিজেদের নির্বাচনী ইস্তাহার ভুলে গিয়েছে। কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ নিয়ে তাদের সই করা একটি চুক্তিও এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।”
উল্লেখ্য, আগামী বছরই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি। দিন যত এগোচ্ছে, দেশের সব থেকে বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পারদ তত চড়ছে। নির্বাচনে কাদের মানুষ গ্রহন করে সেই উত্তর মিলবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।