লখনউ : যোগী রাজ্যে চড়ছে রাজনীতির পারদ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভোট (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। তার আগে একঝাঁক বিজেপি নেতা পদ্ম ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। তালিকায় রয়েছেন একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন যোগী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়া আরও এক মন্ত্রী দারা সিং চৌহান (Dara Singh Chouhan)। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের তিনজন মন্ত্রী সহ প্রায় এক ডজন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিলেন। এর পাশাপাশি বিজেপির জোটসঙ্গী আপনা দলের বিধায়ক আর কে বর্মাও রবিবার সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। চৌহানদের সপায় স্বাগত জানিয়ে অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) রবিবার বলেছেন, “আমি দারা সিং চৌহান, আর কে বর্মাকে দলে স্বাগত জানাই। এই লড়াই (২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচন) দিল্লি এবং লখনউয়ের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই (কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল বিজেপি)। তারা শুধুমাত্র ‘ভাঙার রাজনীতি’ করেছে। আমরা ‘উন্নয়নের রাজনীতিতে’ জোর দেব।”
উল্লেখ্য, এই দল বদলের হিড়িকের মধ্যে সপায় সম্ভবত শেষ সংযোজন হলেন দারা সিং চৌহান। উত্তর প্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব শনিবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপির মন্ত্রী ও বিধায়কদের জন্য সমাজবাদী পার্টির দরজা এবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “আমরা আর কোনও বিজেপি নেতাকে দলে নেব না।” তবে দারা সিং চৌহান মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বেশ কয়েকদিন আগেই। তখন থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, তিনি সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে চলেছেন। কিন্তু অখিলেশের শনিবারের ঘোষণার পর, দারা সিং চৌহানের সপায় যোগ দেওয়া ঘিরে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রবিবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অখিলেশের দলে যোগ দিলেন বিজেপি ত্যাগী তৃতীয় মন্ত্রী।
উত্তর প্রদেশের ভোটের আর এক মাসও বাকি নেই। তার আগে প্রতিটি দলই নিজের নিজের ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত। উত্তর প্রদেশের ভোটে বরাবরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে এসেছে জাত-পাতের রাজনীতি। সেদিক থেকে প্রতিটি দল নিজের মতো করে রণকৌশল তৈরি করছে। এদিকে শনিবারই চন্দ্রশেখর আজাদের দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি ভেস্তে গিয়েছে সমাজবাদী পার্টির। এই পরিস্থিতি দারা সিং চৌহানকে সপায় টানা অখিলেশের নিঃসন্দেহে এক বড় চাল হতে চলেছে বলে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দারা সিং চৌহান একজন দুঁদে রাজনীতিক। উত্তর প্রদেশের অন্যতম প্রভাবশালী ওবিসি নেতা। লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয় কক্ষেই সাংসদ ছিলেন। বুধবার যোগীর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের আগে পর্যন্ত তিনি উত্তর প্রদেশের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ছিলেন।