লখনউ : যোগী রাজ্যে ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। তার আগে প্রতিটি দলই নিজেদের নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করে নিচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করাও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তারপরই বিক্ষিপ্তভাবে অসন্তোষ প্রকাশ পাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে। সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) এক নেতা টিকিট না পেয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। একেবারে লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির পার্টি অফিসের বাইরে এই কাণ্ড করেন অখিলেশের দলের বিক্ষুব্ধ নেতা।
আদিত্য ঠাকুর নামে ওই ব্যক্তি আলিগড়ের সমাজবাদী পার্টির এক নেতা। আশা করেছিলেন, অখিলেশ হয়তো তাঁকে টিকিট দেবেন। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই মন ভাঙে আদিত্য ঠাকুরের। তালিকায় নাম নেই তাঁর। আর সেই হতাশা থেকেই গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে, লখনউয়ের বিক্রমাদিত্য মার্গে সপার সদর দফতরের সামনে। যদিও কোনওরকম অঘটন ঘটনা আগেই সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা এবং কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ওই বিদ্রোহী সমাজবাদী পার্টির কর্মীকে সময় মতো থামিয়ে দেন। আদিত্য ঠাকুরকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ আটক করার পরেও আদিত্য ঠাকুরের চোখে মুখে টিকিট না পাওয়ার হতাশার ছাপ স্পষ্ট। আবেগপ্রবণ হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি আজ এখানেই আমার জীবন দিয়ে যাব, যাই ঘটুক। আপনারা আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দিলেও আমাকে থামাতে পারবেন না। আমি বিচার চাই।” তাঁর আরও বক্তব্য, দল তাঁর টিকিট কেড়ে নিয়েছে। পরিবর্তে ‘বহিরাগত’ নেতাদের সেই টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আদিত্য ঠাকুরের আরও বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড নেই। তারপরও তাঁকে প্রার্থীপদ দিতে অস্বীকার করেছে দল।
সমাজবাদী পার্টি সূত্রে খবর, আদিত্য ঠাকুর নামে ওই দলীয় নেতা আলিগড়ের ছারা বিধানসভা কেন্দ্রে আসন্ন উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে লড়বেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। উল্লেখ্য, সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোকদল জোট ১৩ জানুয়ারি উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার জন্য ২৯ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে৷ একটি তালিকা অনুযায়ী, ২৯ টি আসনের মধ্যে, সপা ১০ টি বিধানসভা কেন্দ্রে এবং আরএলডি ১৯ টিতে প্রার্থী দিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুজাফফরনগর, শামলি, আলিগড়, আগ্রা, গাজিয়াবাদ, মিরাট, হাপুর ও গাজিয়াবাদের মতো জেলাগুলির আসনে বেশিরভাগেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন।