লখনউ: ভোটের বাজারে নতুন সমস্যায় পড়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব(Akhilesh Yadav)-র বিরুদ্ধেও দায়ের হল অভিযোগ। নির্বাচনী বুথের (election Booth) ভিতরেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলায়, তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের এটাহ জেলাতে অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। উত্তর প্রদেশের কারহল থেকে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। গতকালই ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ পর্ব ছিল। এদিকে, এটাহ জেলার সাইফাইয়ের একটি কেন্দ্রে ভোট দিতে যান অখিলেশ যাদব। সেখানে তিনি ভোটিং সেন্টারের ভিতরেই সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ নির্বাচন কমিশনের নিয়মবিধি অনুযায়ী, ভোট কেন্দ্রের ভিতরে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও তথ্য আলোচনা করা যাবে না। এতে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন।
করোনাবিধি ভঙ্গের অভিযোগও উঠেছে অখিলেশের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট জনসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক সমর্থক নিয়ে ভোট কেন্দ্রে এসেছিলেন অখিলেশ। উল্লেখ্য, ভোটারদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, এটাহ জেলাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। ফলে কোনও জায়গায় চারজনের বেশি জমায়েতের অনুমতি ছিল না।
গতকাল কানপুরের মেয়রের বিরুদ্ধেও আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। কানপুরের মেয়র প্রমীলা পাণ্ডে গতকাল কানপুরের হাডসন স্কুলের বুথে ভোট দিতে যান। সেখানেই তিনি কাকে ভোট দিচ্ছেন, তার ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়।পরে তা বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠানো হয়। এই বিষয়টি নজরে আসতেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, বুথের ভিতরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকা যায় না। কে কোন প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তাও গোপন রাখাই নিয়ম। সেখানেই একজন মেয়র কোন প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তা কীভাবে রেকর্ড করা হল এবং তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
কানপুরের জেলাশাসক নেহা শর্মা জানান, কানপুরের মেয়র প্রমীলা পাণ্ডে ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকায় এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করায়, তার বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।