UP Assembly Election: সব জল্পনার অবসান! কোন কেন্দ্র থেকে লড়বেন অখিলেশ, জানিয়ে দিল সপা
Akhilesh Yadav: নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অখিলেশের ভোটে লড়া নিয়ে ধোঁয়াশ তৈরি হয়েছিল। ২০১২ সালে ভোটে না লড়েই মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন অখিলেশ।
লখনউ: ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Election 2022)। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই রাজনৈতিক দলগুলির তরফে ধাপে ধাপে প্রকাশিত হচ্ছে প্রার্থী তালিকা। সমাজবাদী পার্টির সর্বোচ্চ নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। এবার কখনও উঠে আসছিল আজমগঢ়ের নাম কখনও আবার গোপালপুর। যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সমাদবাদী পার্টির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মইনপুরী জেলার কারহাল কেন্দ্র থেকে লড়বেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব।
কেন কারহাল বেছে নিলেন মুলায়ম পুত্র?
কারহাল সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। সমাজবাদী পার্টি তথা যাদব পরিবারকে কোনও দিনও খালি হাতে ফেরায়নি কারহাল। ১৯৯৩ সাল থেকে প্রত্যেক নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ব্যতিক্রম ২০০২ এবং ২০০৭ সাল। এই দুই বছর এই কেন্দ্র থেকে জেতে বিজেপি। কারহালের বর্তমান বিধায়ক সোবারান যাদবও সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। যাদব পরিবারের গড় হিসেবে পরিচিত এটাওহা জেলার যশবন্তনগর থেকে বর্তমানে অখিলেশের কাকু শিবপাল সিং যাদব নির্বাচিত। ১৯৯৬ সাল থেকে একটানা পাঁচবার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন শিবপাল। ১৯৬৭ থেকে ১৯৯৩ অবধি এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন সপার প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদব। ১৯৮০ সালে কংগ্রেসের হাওয়াতে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। কারহালের বর্তমান বিধায়ক সোবারান যাদব অখিলেশের এই সিদ্ধান্তে খুশি। তিনি জানিয়ছেন বারবার তিনি অখিলেশের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। অখিলেশ এই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে আশেপাশের এলাকাতেও সমাজবাদী পার্টির পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কেন ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অখিলেশ?
নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অখিলেশের ভোটে লড়া নিয়ে ধোঁয়াশ তৈরি হয়েছিল। ২০১২ সালে ভোটে না লড়েই মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন অখিলেশ। পরবর্তীকালে বিধান পরিষদ থেকে তিনি মনোনীত হয়েছিলেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কেন্দ্র নির্বাচনরে জল্পনাকে কটাক্ষ করেছিলেন অখিলেশ। যোগী শেষমেশ নিজের গড় গোরক্ষপুর থেকে প্রার্থী হওয়ার অখিলেশের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছিল। অনেকেই মনে করছিলেন প্রধান নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে সাধারণ কর্মীদের মনোবলে আঘাত লাগতে পারে। অখিলেশের ভোটে লড়ার পিছনে এই সিদ্ধান্তের পিছনে এই কারণও অন্যতম বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি বিজেপিকে পরাজিত করতে পারে কিনা তার উত্তর মিলবে ১০ মার্চ।