কলকাতা : রাজ্যে ফের ভোটের দামামা। আগামী মাসেই উপনির্বাচন (West Bengal Bye Election) রয়েছে বাংলায়। ১২ এপ্রিল ভোট রয়েছে বালিগঞ্জ (Ballygunge) বিধানসভা কেন্দ্র ও আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্রে। তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্য়েই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপি এখনও দুই কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। বিজেপি সূত্রে খবর, উপনির্বাচনের জন্য দুই কেন্দ্রের সম্ভব্য প্রার্থীদের নামের একটি তালিকা তৈরি করে দিল্লির নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কারা হবেন এই দুই কেন্দ্রের পদ্ম প্রার্থী, সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের দিল্লির নেতারাই।
দলীয় সূত্রে খবর, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে পদ্ম প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে রয়েছেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি , অগ্নিমিত্রা পাল। এছাড়া আরও দুই জনের নাম রয়েছে তালিকায়। এর পাশাপাশি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছে যুব নেতা ইন্দ্রনীন খাঁ এবং আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া আরও এক নেতার নামও রয়েছে তালিকায়। এদিকে সোমবার সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বৈঠক করেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নেতাদের নিয়ে। সাতটা বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাত বিধায়ককে। প্রচার শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আসানসোল ও বালিগঞ্জে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে প্রার্থী বাছতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি। আসানসোল বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। তাই খুব ভেবে-চিন্তেই তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চাইছে। আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বুধবার বা বৃহস্পতিবার দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। বালিগঞ্জে কোনও সেলিব্রিটিকে প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবির। তবে আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে কোনও সেলিব্রিটিকেই প্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য দলের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে।
বিজেপির একাংশ চাইছে আসানসোলে অগ্নিমিত্রা পাল, জিতেন্দ্র তেওয়ারি, নির্মল কর্মকার বা সুব্রত মিশ্রর মধ্যে কাউকে প্রার্থী করা হোক। অগ্নিমিত্রা, জিতেন্দ্র কিংবা নির্মলরা পরিচিত মুখ। আসানসোল যেহেতু বিজেপির জেতা আসন। তাই হেভিওয়েট কাউকে সেখানে প্রার্থী করা উচিত বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। অনেকে আবার চাইছে আসানসোলে দলের কোনও সেলিব্রিটিকে প্রার্থী করা হোক। তাহলে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হবে। আর বালিগঞ্জ হচ্ছে বিজেপির দুর্বল মাঠ। তাই সেখানে যতটা লড়াই দেওয়া যায় সেটাই অনেক বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। একুশে বালিগঞ্জে প্রার্থী হওয়া লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছিলেন। এবার লোকনাথবাবু না দাঁড়াতে চাইলে কোনও সেলিব্রিটিকেও ভাবা হচ্ছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, সব নামই ভাবনা-চিন্তার মধ্যে রয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে। এদিকে, আসানসোল ও বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছে যথাক্রমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। বালিগঞ্জের সঙ্গে কোনও পরিচিতি না থাকা সত্বেও সেখানে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শান্তিপুরের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। আসানসোলের সহ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে। সেখানে ইলেকশন ইনচার্জ হয়েছেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
আরও পড়ুন : Home Department Budget: আনিস হত্যা, কাউন্সিলর ‘খুনের’ আবহে ১০ বছর পরে স্বরাষ্ট্র বাজেট পেশ করবেন মমতা