পরিববর্তন না প্রত্যাবর্তন? কী বলছে বঙ্গযুদ্ধ এক্সিট পোল, আজ বিকেল ৫টায় টিভি নাইন বাংলায়

Exit Poll Result today: গত ২৭ মার্চ থেকে এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু হয়েছে। রীতিমত নজির তৈরি করে এই প্রথমবার আট দফায় বিধানসভা ভোট হল বাংলায়।

পরিববর্তন না প্রত্যাবর্তন? কী বলছে বঙ্গযুদ্ধ এক্সিট পোল, আজ বিকেল ৫টায় টিভি নাইন বাংলায়
নজর রাখুন টিভি নাইন বাংলায়।
Follow Us:
| Updated on: Apr 29, 2021 | 1:50 PM

কলকাতা: আট দফার ভোটপর্ব (West Bengal elections 2021) শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এদিনই বিকেল ৫টায় টিভি নাইন বাংলায় ‘এক্সিট পোল’। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কোথায় এগিয়ে কোন দল, তারই বুথ ফেরত সমীক্ষা তুলে আনছে টিভি নাইন বাংলা।

গত ২৭ মার্চ থেকে এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু হয়েছে। রীতিমত নজির তৈরি করে এই প্রথমবার আট দফায় বিধানসভা ভোট হল বাংলায়। প্রায় এক মাস ধরে এই ভোটপর্ব চলল। সামগ্রিকভাবে এবারের ভোট যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, একইভাবে বেশ কয়েকটি আসনেও এবার নজর রাজ্যবাসীর।

এ ক্ষেত্রে অবশ্যই পাখির চোখ নন্দীগ্রাম। একুশের নির্বাচনী লড়াইয়ে গোটা রাজ্যে পেরিয়ে সমগ্র দেশের নজর আটকে এই কেন্দ্রে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এখানে লড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন এই কেন্দ্রেরই পদত্যাগী বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিক, সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় লড়ছেন এখান থেকে। ফলে গোটা নির্বাচনের এপিসেন্টার এই নন্দীগ্রাম।

টিভি নাইন বাংলা ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্র নিয়ে একটি জনমত সমীক্ষা করে। যেখানে মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্ন ছিল, নন্দীগ্রামে কারা এগিয়ে? সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৬ শতাংশ মানুষই জানিয়েছেন, তৃণমূল জিতবে নন্দীগ্রামে। ৩৬.১ শতাংশ মানুষের মতে, জয়লাভ করবেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বামফ্রন্ট ও সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী জিতবেন এমন মনে করছেন ১০ শতাংশ মানুষ। এবং ৭.৯ শতাংশ মানুষ বলছেন, বলতে পারবেন না।

অন্যদিকে কোনদিকে ঘুরছে একুশের বিধানসভা ভোটের হাওয়া? কী ভাবছেন বাংলার সাধারণ মানুষ? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রাজ্যজুড়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল TV9 বাংলা ও পোলস্ট্র্যাট নামক একটি সংস্থা। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দিয়েছিল বিজেপি। তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত গোটা উত্তরবঙ্গ। সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে, উনিশের ভরাডুবি একুশে কিছুটা হলেও মেরামত করতে সক্ষম হবে তৃণমূল। জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে তৃণমূল ভোট পেতে পারে ৩৯.৮ শতাংশ। বিজেপির ঝুলিতে ৩৭.৮ শতাংশ ভোট যেতে পারে। সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে ১৬.৫ এবং অন্যান্যরা ৫.৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে।

দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে আবার শাসকশিবিরের দাপট বাকিদের তুলনায় বেশি বলে উঠে আসে জনমত সমীক্ষায়। তবে তৃণমূল ও বিজেপির টক্কর যে বেশ জোরাল হবে, তার ইঙ্গিতও মেলে। তৃণমূলের বাক্সে ৩৮.৬ শতাংশ ভোট এলেও বিজেপি খুব বেশি পিছিয়ে থাকবে না। ৩৬.২ শতাংশ ভোট বিজেপির দিকে এবং সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে ১৯.৫ শতাংশ ভোট থাকতে পারে। অন্যান্যরা পেতে পারে ৫.৮ শতাংশ ভোট।

শহর কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শাসকদলের ক্ষমতা সুবিদিত। জনমত সমীক্ষাতেও সেই ক্ষমতা প্রদর্শনের ইঙ্গিত মিলেছে। সমীক্ষায় মনে করা হচ্ছে, কলকাতা ও তার শহরতলিতে ৪০.১ শতাংশ ভোট পেতে পারে তৃণমূল। বিজেপি পেতে পারে ৩৭.৪ শতাংস। সংযুক্ত মোর্চার ঝুলিতে ১৬.৭ ও অন্যান্যদের খাতায় ৫.৮ শতাংশ ভোট যেতে পারে বলে ইঙ্গিত এই সমীক্ষায়।