কেন সেদিন মমতাকে জঙ্গলমহলের মা বলেছিলেন, বিস্ফোরক দাবি ভারতী ঘোষের
প্রায় পাঁচ বছর বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহলের (Jangalmahal) পুলিশি নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ভারতী ঘোষের কাঁধেই। এই সময়ের মধ্যেই একবার জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চে তৎকালীন পুলিশসুপার ভারতী ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'জঙ্গলমহলের মা' বলে সম্বোধন করেন।
দিনরাত এক করে ভোট প্রচার করছেন ভারতী ঘোষ। শুধু জনসভাই নয়, দোরে দোরে ঘুরেও ভোট চাইছেন তিনি। তৃণমূল তাঁর বিপরীতে দাঁড় করিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস হুমায়ুন কবীরকে। এ কেন্দ্রে টক্কর জোরাল। যদিও জয় নিয়ে আশাবাদী ভারতী জানালেন, প্রখর রোদেও অলিগলিতে মানুষের যে সমর্থন তিনি পাচ্ছেন, তাতে স্পষ্ট এবার পরিবর্তনের পরিবর্তন হবেই।
আরও পড়ুন: ‘কুড়ি বছর পর রাস্তায় হেঁটে ভোট ভিক্ষা করব, নতুন অনুভূতি’, রাতেই কৃষ্ণনগরে পৌঁছলেন মুকুল
২০১২ সাল। তখন ক্ষমতায় তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত পছন্দের আইপিএস ছিলেন ডাকাবুকো ভারতী। তাঁকে ঝাড়গ্রামের পুলিশসুপার করেন মমতা। পরের বছর মেদিনীপুরের পুলিশসুপারের দায়িত্ব দেন ভারতীকে। প্রায় পাঁচ বছর বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহলের পুলিশি নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ভারতী ঘোষের কাঁধেই। এই সময়ের মধ্যেই একবার জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চে তৎকালীন পুলিশসুপার ভারতী ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বাধে।
কেন সেদিন তিনি এমন উপমা ব্যবহার করেছিলেন, ভোটের মুখে তা নিয়ে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ভারতী ঘোষের। তিনি বলেন, “পুলিশ সুপার একজন সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকেন। তাঁর নিজের কোনও কথা বলার অধিকার নেই। সরকারের লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়তে বাধ্য হয়। নবান্ন থেকে অনুমোদন করা স্ক্রিপ্টই পড়তে হয়। যদি লেখা থাকে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জঙ্গলমহলের ফুটবল কাপে পাঁচ লক্ষ টাকা দিচ্ছেন। জঙ্গলমহলের মা। আমাকে সেটাই পড়তে হবে।”