যিশুও কি এ বার বিজেপিতে? কী উত্তর এল?
মঙ্গলবার রুদ্রনীল ঘোষ ফেসবুকে সেলফি পোস্ট করেছেন। তাঁর সঙ্গে সদ্য বিজেপিেত যোগ দেওয়া 'মহাগুরু'। সেই সেলফিতে রয়েছেন যিশু সেনগুপ্তও। এই ছবি উস্কে দিলে বহু প্রশ্ন।
তিন স্টারের তোলা ‘সেলফি’। মঙ্গলবার ফেসবুকে পোস্ট হওয়া ওই সেলফির ফ্রেমে দেখা গিয়েছে যিশু সেনগুপ্ত, ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ অর্থাৎ মিঠুনদা এবং রুদ্রনীল ঘোষ। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, রুদ্রনীলই তুলেছেন সেই ছবি। এই ছবি নিয়েই উঠছে জল্পনা। তাহলে কি যিশু সেনগুপ্তও যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?
গত ৭ মার্চ, ব্রিগেড মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দেন ‘নকশাল’ মিঠুন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রীর হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম করতে যান ‘মিঠুনদা’। আপ্লুত কন্ঠে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এই দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো।” বক্তৃতা শেষে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তাঁর সদর্প উচ্চারণ, ‘‘আমি জলঢোড়াও নই। বেলেবোড়াও নই। আমি হলাম জাত গোখরো! এক ছোবলেই ছবি।’’
অন্যদিকে রুদ্রনীল ঘোষের বিজেপি যোগদানও ছিল বেশ নাটকীয়। প্রথমে বাম তারপর তৃণমূল এবং তারপর বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা রুদ্রনীল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়ার সঙ্গে চার্টাড বিমানে জায়গা না পেয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে অমিত শাহর হাত থেকে গেরুয়া উত্তরীয় পরে নেন গলায়।
একের পর এক টলিউড তারকাদের নাম উঠে আসছে রাজ্য রাজনীতিতে। লাল-সবুজ-কমলা দলে যোগ দিচ্ছেন টলিউডের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী।
রুদ্রনীল ঘোষের পোস্ট করা সেই ছবি কি তাহলে যিশুর বিজেপিতে যোগদানের আগাম সংকেত? গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা?
TV9 বাংলার তরফে যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। তবে ফোন তুলেছেন ‘ত্রয়ী’ সেলফিটি মুঠোফোনে যিনি ধরেছেন, সেই রুদ্রনীল ঘোষ।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি ক্যাপশনে লিখেছেন ‘আড্ডা’। তার মানে কি ওই আড্ডা রাজনৈতিক? ‘সাতে পাঁচে না থাকা’ রুদ্রনীল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, “আড্ডাটি রাজনৈতিক নয়। তবে তাতে রাজনীতি আছে।” রুডির সাফ কথা, “সামনে বিধানসভা নির্বাচন। রান্নাঘর থেকে প্রেম। সব জায়াগাতেই রাজনীতি। রান্না করতে-করতেও রাজনীতি। প্রেমালাপের মধ্যেও রাজনীতি। তিনজন শিল্পী যদি বসে আড্ডা মারেন, তাহলে তো সেখানে রাজনীতি থাকতেই পারে।”
যিশু কি বিজেপিতে যোগদান করছেন— তা নিয়ে কি কথা হয়েছে? প্রশ্ন শুনে বেশ কিছুক্ষণ সময় নিলেন রুদ্রনীল এবং তারপর তুলে আনলেন বর্তমান বাংলার প্রসঙ্গ, খেয়ালি গলায় রুদ্র বললেন, “বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি তা নিয়ে কথা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন অন্যায় এবং সে বিষয়ে সরকারের ঔদাসীনতা উঠে এসেছে। তাতে আমরা সবাই কষ্ট পেয়েছি। কেউ বিরোধিতা করেছি। কেউ রাজনীতিতে এসেছি। কেউ নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।”
রুদ্রর আরও সংযোজন, “যিশু কী করবেন সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। আমি বা মিঠুনদা, ওঁকে (যিশু) যোগদান করানোর কেউ নই। সেটা বিজেপি-রাজ্য নেতাদের দায়িত্ব।”