বিজেপির মঞ্চে মিঠুনের উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ?

কিছুদিন আগে মোহন ভাগবতের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। এরপর এদিনের বিজেপি-যোগ মিঠুনের গৈরিক সমীকরণকে আরও জোরাল করল।

বিজেপির মঞ্চে মিঠুনের উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ?
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 07, 2021 | 6:06 PM

কলকাতা: অতি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য। ভাষাও বেশ সাদামাটা। তবু বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর প্রতিটি কথার ভাঁজে প্রচ্ছন্ন রইল গূঢ় তাৎপর্য। বুঝিয়ে দিলেন, রাজনীতিতে এই ‘জাত গোখরোর’ তৃতীয় ইনিংস বেশ পাকাপোক্তই হবে। এমনটাই মনে করছেন একাংশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

রবিবার বিজেপির ব্রিগেড-মঞ্চে পদ্মপতাকা হাতে তুলে নেন বাঙালির চিরকালীন ‘মিঠুনদা’। বয়সের ছাপ তাঁর চোখে মুখে থাকলেও ‘বাঙালি বাবু’র নায়ক সুলভ শরীরী ভাষা বদলায়নি। ধুতি, পাঞ্জাবী, মাথায় কালো টুপি, চোখে রোদ চশমা আর গলার ঝাঁঝে এখনও তিনি একইরকম ‘হিট’। এক সময় সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর ‘স্নেহধন্য’ মিঠুন মমতার ‘রাজ্যসভার সাংসদ’ থেকে এবার পদ্মকাননে। তবে সরাসরি রাজনীতি না করলেও মিঠুনের রাজনৈতিক পরিপক্কতা এদিন নজর করেছেন রাজনীতির কারবারিরা। এদিন মিঠুনের শব্দ চয়ন, সংলাপ চয়ন, ইঙ্গিতপূর্ণ চাউনি দেখে শুনে অনেকেই বলছেন, রাজনীতির কথা না বলেও যে অনেক কিছু বলা যায়, বুঝিয়ে দিলেন জোড়াবাগানের গৌরাঙ্গ।

আরও পড়ুন: ‘খেল খতম…স্কুটি যখন নন্দীগ্রামে পড়বে ঠিক করেছে, তাহলে আমি কী করব’, মমতাকে কটাক্ষ মোদীর

মিঠুনের ছবির এমন অনেক সংলাপ রয়েছে যা বাংলা বাজারে সুপারহিট। সেই সংলাপই ভোটের বাংলায় স্লোগান করে এগোতে চান তিনি। এ কথা তিনি স্পষ্ট করে দেন। ব্রিগেড মঞ্চে তাই মিঠুনকে বলতে শোনা গেল, “আপনারা আমার সংলাপ ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’ সবসময় শুনতে চান। কিন্তু এবার নতুন ডায়লগ দিয়ে আমার ক্যাম্পেন শুরু। মনে রাখবেন, আমার নাম মিঠুন চক্রবর্তী। আমি যা বলি, তা করি। আমি জলঢোড়াও নই, বেলেবোরাও নই। জাত গোখরো। এক ছোবলেই ছবি। আমি বাঙালি। দাদার প্রতি ভরসা রাখবেন। দাদা কখনওই পালিয়ে যায়নি।”

মোদীর ব্রিগেড মঞ্চে এদিন স্থান পেয়েছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন নেতা। তথা কথিত চলচ্চিত্র জগতের কারও টিকি পর্যন্ত দেখা যায়নি। সেখানেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে উপস্থিত ছিলেন ‘নবাগত’ মিঠুন। মোদীর বক্তব্যেও উঠে এসেছে মিঠুনের কর্মদক্ষতা, পরিশ্রম, লড়াইয়ের প্রশংসা। মিঠুন নিজেও বলেছেন, তিনি মনে প্রাণে কতটা বাঙালি। মিঠুনকে ঘিরে মোদীর ব্রিগেড মঞ্চের এই ‘বাঙালিয়ানা’র হাওয়া, রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ভুললে চলবে না, মিঠুন কিন্তু একসময় বাল ঠাকরের অত্যন্ত পছন্দের ছিলেন। কিছুদিন আগে মোহন ভাগবতের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরপর এদিনের বিজেপি-যোগ মিঠুনের গৈরিক সমীকরণকে আরও জোরাল করল।