‘আয় মুকুল খেলবি আয়, এই মাটিতেই খেলবি আয়’, ‘চাণক্যকে’ ময়দানে আহ্বান কল্যাণের

বৃহস্পতিবার, শুধু শিশির অধিকারীর প্রসঙ্গে নয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি, কৃষ্ণনগরের উত্তরের প্রার্থী মুকুল রায়কে নিশানা করে বলেন, ‘মুকুল ভোটে লড়বে এ তো ভাল কথা। ও নাকি বিজেপির চাণক্য। দেখা যাক, কত ভাল খেলে ও। আয় মুকুল খেলবি আয়। এই মাটিতেই খেলবি আয়।’

‘আয় মুকুল খেলবি আয়, এই মাটিতেই খেলবি আয়’, ‘চাণক্যকে’ ময়দানে আহ্বান কল্যাণের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 18, 2021 | 6:52 PM

হুগলি: রাজনীতির ময়দানে বরাবরই চোখা মন্তব্য করতে শোনা যায় তৃণমূলের (TMC) আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিভিন্ন সময় অসংযত প্রতিক্রিয়ার জন্যও খবরের শিরোনামে এসেছেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। বৃহস্পতিবারও নির্বাচনী প্রচারে নেমেই বিজেপিকে নিশানা করে কল্যাণ বলেন, ‘সিবিআই ইডির ভয় দেখিয়ে চক্রান্ত করে কোনও লাভ নেই। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-রা বুঝে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চাশের বেশি আসন পাবে না। তাই ভয় দেখাতে এসব করছে।’

বৃহস্পতিবার, চাঁপদানীতে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী অরিন্দম গুঁইয়ের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মমতার একার যা ক্ষমতা আছে, বিজেপির হাল খারাপ করতে তাই যথেষ্ট। গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ওরা দল করবে কী, নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেই মরল। এতদিন দলে থাকার পর যদি দলবদলু নেতারা দলে নতুন এসে টিকিট পেয়ে যায়, তবে ক্ষোভ জন্মাবে বৈকি।’

কাঁথির সাংসদ তথা বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারীর দল বদলের জল্পনা প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, ‘উনি যদিই সত্যিই দলের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে থাকেন, তবে ওঁর উচিৎ সাংসদ পদ ত্যাগ করে অন্য দলে যাওয়া।’ উল্লেখ্য সম্প্রতি, মোদীর (Narendra Modi) সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন শিশিরবাবু। এমনকী, শাসক দলের বিরুদ্ধে তাজপুরের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগও তুলেছেন শিশির অধিকারী।

এদিন শুধু শিশির অধিকারীর প্রসঙ্গেই নয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা কৃষ্ণনগরের উত্তরের সদ্য ঘোষিত বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়কেও (Mukul Roy) নিশানা করেছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘মুকুল ভোটে লড়বে এ তো ভাল কথা। ও নাকি বিজেপির চাণক্য। দেখা যাক, কত ভাল খেলে ও। আয় মুকুল খেলবি আয়…এই মাটিতেই খেলবি আয়।’

মুকুল ছাড়াও তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া ‘দলবদলু’দের নিশানা করতে ছাড়েননি কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘বিজেপি যাদের টাকা দিয়ে কিনেছে তারা পচা মাল। বাঘ ভেবে বিড়াল নিয়ে গিয়েছে। ২ মে-এর পর সব জানা যাবে।’

ঘাসফুল শিবির ত্যাগ করে নেতাদের ঘন ঘন পদ্ম শিবিরে যাত্রা কি নির্বাচনের আগে কোনও প্রভাব ফেলবে না? এমনকী তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের পর খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাম বন্ধুদের’ ভোট চেয়েছেন। সে প্রসঙ্গেও গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুর সাংসদ বলেন, ‘বিজেপিই বাম। অধীর-সেলিম নরেন্দ্র মোদীর এজেন্ট। ওঁরা মোদীর হয়ে কাজ করেন।’

আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা থাকলে আমাদের টাচ করে দেখাক’, ‘ভাইজানের’ বুক ফোলানো ভাষণের পর ভাঙড়ে ধুন্ধুমার