ভোটের এখনও পাঁচ দফা বাকি। প্রচার যুদ্ধে পিছিয়ে নেই ঘাসফুল বা পদ্মফুল কোনও শিবিরই। জানুয়ারি মাসের শেষে রাজীব বন্দ্যোপধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগের দিনটা মনে পড়ে? তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় রাজীবের হাতে ছিল তৃণমূল নেত্রীর ছবি! শীতের সেই পড়ন্ত দুপুরে ধরা গলায় বলেছিলেন, মমতা তাঁর কাছে ‘মাদার ফিগার’। যে দলেই যান মমতার ছবি তাঁর সঙ্গে আজীবন থাকবে। কিন্তু মার্চের এই বৃহস্পতিবার সেই সম্পর্কে বদলে গেল এক লহমায়। বৃহস্পতিবার রাজীবের ‘মাদার ফিগার’ ডোমজুড়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে দুর্নীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করে জানালেন টিকিট দিয়ে ভুল করেছিলেন। পাল্টা রাজীবও কম গেলেন না, হুঁশিয়ারি দিলেন হাটে হাঁড়ি ভাঙার!
নির্বাচন সংক্রান্ত সারাদিনের সব খবরের আপডেট একনজরে:
বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ের সভা থেকে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘গদ্দারকে টিকিট দিয়েছিলাম। এর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।’ এখানেই থামেননি তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “ডোমজুড়ের মানুষের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই কারণে যে, একটা গদ্দার, মিরজাফরকে আপনাদের এখানে নমিনেশন দিয়েছিলাম। সেই গদ্দার, মিরজাফর জনগনের টাকা মেরে দিয়ে… আপনারা জানেন আমায় কী বলেছিল?” এর পর মমতার আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, সেচমন্ত্রী থাকাকালীন রাজীবের বিরুদ্ধে কিছু ‘কমপ্লেন’ পান তিনি। তার পর তাঁকে সেচ দফতর থেকে সরিয়ে বন দফতরের দায়িত্ব দেন। কিন্তু তার পর রাজীব মমতার কাছে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট চান বলে অভিযোগ তাঁর। মমতার কটাক্ষ, “মানে ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর দিলে ভালো করে টাকাটা ঝাড়া যাবে আরকি। কমিশনটা বেশি করে খাবে। আমি ক্ষমাপ্রার্থী আপনাদের কাছে। আমিও বুঝতে পারিনি।”
বিস্তারিত পড়ুন: কলকাতা থেকে দুবাইয়ে সম্পত্তি বানিয়েছে রাজীব! মমতার আক্রমণের ‘যোগ্য জবাব’ দিতে তৈরি হচ্ছেন বিজেপি নেতা
পার্থ মোটা হোক, রোগা হোক, ভাল হোক, বাজে হোক, যেমন হোক, পার্থ আপনাদের ঘরের লোক। যা করবে আপনাদের জন্য় করবে। রত্না আপনাদের ঘরের লোক। ওর মা বিধায়ক ছিল। জানেন, ও যখন ছোটটি, তখন ও আমার জন্য লড়াই করেছিল। আর সেখানে দুটো কোত্থেকে মোটা দুটোকে এনেছে! খালি বাজে বকে! আমি যা যা করেছি তা আর কেউ করবে। আমি তৃতীয় সর্ববৃহৎ কোলমাইন্ড করছি। পাঁচ লক্ষ ছেলেমেয়েদের শুধু সরকারি ও বেসরকারি লোকেদের চাকরি দেব। আর দেড় কোটি ছেলেমেয়েকে কুটির শিল্পে চাকরি দেবো। যখন কোভিড চলছিল, তখন কোথায় ছিলি তোরা? কোথায় ছিলি? ওইসময়ে আমি রাস্তায় রাস্তায় গোল্লা এঁকে বুঝিয়েছি। আমি রেডলাইট এলাকায় গিয়ে, ট্রান্সজেন্ডারদের চাল ডাল দিয়েছি। আমি কম করেছি! কত লড়াই করেছি আমায় কোভিডের ভ্যাকসিন টা দেওয়ার জন্য! মোদীজি আপনি জেনে রাখুন, আমিও এর কারণ জেনে রাখব! হিউম্যান রাইটস কমিশন, দিল্লি মেট্রো, মুম্বই মেট্রো আমার করে দেওয়া। আমার দিল্লিটা খুব ভাল করে করা। আসল বামপন্থীরা এখনও বিকিয়ে যাননি বলে আমি মনে করি। আমি বলি, হায় হায় মরি মরি, বিজেপি যাবে গড়াগড়ি। আমার মাইনাস জায়গা গুলো বলে দিই। বাঁকুড়া বীরভূম থেকে আমি ঘ্য়াচাং ফু করে দিয়েছি। আমি থাকতে এনআরসি এনপিআর করতে দেব না। আবার লকডাউনের ধান্দা করেছিল। আমি বলেছি, আমি এখানে লকডাউন করতে দেব না। :মমতা
তিনটে কালাকানুুুন এনেছে। সব লুঠ হয়ে গিয়েছে। আলুর দাম আশি টাকা কিলো হলে বা পটল একশো টাকা কিলো হলে কিনতে পারবেন? বিনাপয়সায় রেশন লাগলে জোরে বলতে হবে। বাচ্চা না কাঁদলে মা দুধ দেয়না। আমার সরকার জিতলে পড়ুয়াদের চিন্তা নেই। উচ্চশিক্ষা নিয়ে চিন্তা নেই। থ্রেট দিয়ে ভোট করাচ্ছে। বিজেপিকে আমরা পরাজিত করব। কিছু ধোঁকা দিয়ে, ধোঁকা বানিয়ে মীরজাফর-গদ্দার কিনে কোনও লাভ নেই। আমার অমন দরকার নেই। আমি ছেলেমেয়েদের তৈরি করে নেব। স্বাস্থ্যসাথী পাবেন প্রত্যেকে। আমার মাকে সোনার হার বিক্রি করতে হয়েছিল বাবার চিকিৎসা করাতে গিয়ে। আমি চাই না সেই কষ্ট আপনাদের হোক। সেইজন্য, স্বাস্থ্যসাথী সবার জন্য। : মমতা
সভার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী হুইলচেয়ারে চড়েই গোটা মঞ্চ ঘুরলেন। তারপর মঞ্চের মাঝে এসে বক্তব্য শুরু করলেন।
আমি রেলমন্ত্রী যখন ছিলাম তখন জোকা থেকে রেল করে দিয়েছি। আমি রেলমন্ত্রী থেকে একাধিক কাজ করেছি। আমি জানতাম ভবিষ্যত। জমি ছিল না। আমি পায়ে ধরে ধরে জমি নিয়েছি। সত্যজিৎ রায় স্টেডিয়ামটা আমার করে দেওয়া। এরপর আমার প্ল্য়ান আছে, জোকা থেকে ডায়মন্ডহারবার পর্যন্ত রেক করে দেব। মাঝেরহাট নিয়ে আপনাদের অনেক অভিযোগ। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আগের সরকারের করা কাজ, মেইনটেনেন্স হয়নি। কী করা যাবে বলুন! সেদিন যখন খোঁজ পেলাম ব্রিজ ভেঙে পড়েছে, তখন আমি দার্জিলিংয়ে। শুনেই পরেরদিন সঙ্গে সঙ্গে আমি চলে এলাম। এসে শুনলাম তিনজন মারা গিয়েছে। আপনারা জানেন, সেই মাঝেরহাট ব্রিজ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি কত কষ্ট পেয়েছেন আপনারা। চার-পাঁচঘণ্টা লেগে যেত। আমি ১৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। মাঝেরহাট থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত। সেখান থেকে যাদবপুর পর্যন্ত, সেখান থেকে গড়িয়া। তারপর একে একে শিয়ালদহ -সহ একাধিক জায়গায়। এরপর দেখবেন আপনারা ফ্লাইওভারে আর মেট্রোতে করে সব জায়গায় চলে যাবেন। বেহালাতে তো কন্য়াশ্রী বিশ্ববিদ্য়ালয় হয়েছে। খিদিরপুরেও কলেজ হয়েছে। ডায়মন্ডহারবার ওমেন কলেজ হয়েছে। আমি করি, করে বলি। না করে বলি না। উনুনের ধোঁয়ায় ব্রিজ খারাপ হতে পারে। আমার চোখ চলে, মুখ চলে, কাজ চলে। আস্তে আস্তে বেহালার জলের সমস্যা অনেকটা মিটেছে। আমি কাজটা কাউন্সিলরের থেকেও ভাল করি। এখানে সেইজন্যেই সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, যাতে জল না জমে। সেই ব্যবস্থা করা হবে। সামাজিক সুরক্ষায় নাম লিখিয়ে নিন।
চতুর্থ দফার নির্বাচনের শেষ প্রান্তে আমি আজও আপনাদের ঘরের মমতা। আমি আপ্লুত, আপনাদের শুভকামনায়। যদি গণ আদালতে রায় নেওয়া হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কেউ আটকাতে পারবে না। এক একটা জেলাকে একাধিক ভাগ করেছে। এমনভাবে চালাকি করে ভাগ করেছে যে কিছু বলার নেই! এমন কাণ্ড করেছে ভেবেছে যে মমতার রফা দফা করবে এত গুলো দফা বানিয়েছে। জানেনা, যে এতে কোনও রফা হওয়ার কিছু নেই। মমতাকে হারাতে পারবে না। তামিলনাড়ুতে ২৪০ টা আসনে এক দফায় ভোট হল, আর এখানে আট দফা! ইচ্ছে করে এ সব করেছে। মমতাকে ওভাবে হারাতে পারবে না। আমার পা টা ওই জন্য জখম করে দিয়েছে। ডাক্তাররা বারণ করেছিলেন বেরতে। কিন্তু, আমি ভাঙি তবু মচকাই না। আমি যাদবপুর লোকসভা থেকে দাঁড়িয়েছিলাম। সেইসময়ে বেহালা পূর্ব ও পশ্চিমের মানুষ আমার পাশে ছিল। আপনারা আমার জন্মদাত্রী মা।
এমন নোংরা একটা দল, আমার কোনও পুলিশ আধিকারিক নির্বাচনে দাঁড়ালে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। আর মালদায় ওই দলের কোনও প্রার্থীর স্বামী পুলিশ আধিকারিক হলে তাকে তো কিছু বলছে না! এত পক্ষপাতিত্ব কেন! সবার জন্য কেন এক নিয়ম নয়! আসলে জানবে তো জিতবে না। ওইজন্য এইসব করছে। বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না। জানেন, এখন হিন্দিভাষীরাও বলেন, উসকো জানে দিজিয়ে, বিজেপি কো নেহি চাইয়ে। ওয়ো বিজনেস নেহি চালানে দ্যেতা। বুঝলেন তো ব্যাপারটা আপনারা! তাই খেলা হবে। একটা করে ভোট আর একটা করে বিজেপির বিরুদ্ধে গোল! এটাই করতে হবে। খেলতে হবে। ওদের বের করে দিন। গোলপোস্টের বাইরে ফেলে দিন। মা-ভাইবোনেদের জিততে হবে। :মমতা
প্রেসকে বলছি, আমার নামে একটা কেন একশোটা শোকজ করলেও আমার উত্তর একই হবে। আমাদের নামে ন্যাশনাল চ্যানেলগুলোকে দিয়ে ভুলভাল বলাচ্ছে। লজ্জা করে না! মিথ্যাবাদী কোথাকার! দুর্যোধন কোথাকার! নরেন্দ্র মোদীর নামে কয়টা কেস ফাইল হয়েছে! আমার কিচ্ছু যায় আসে না। মিডিয়াকে আমি দোষ দিই না। ওদের খালি ভয় দেখাবে। রোজ সকালে বলে বলে দেবে এরকম লিখতে হবে, ওরকম লিখতে হবে! ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে! নয়ত চ্য়ানেল তুলে দেবে। যাঁরা নন্দীগ্রামের মুসলিমদের পাকিস্তানি বলেছেন, তাঁদের শাস্তি হবে না! ওদের গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিৎ! আমার নামে কমপ্লেন করো! ছাই হবে আমার! আমি সবার সঙ্গে আছি। টাকা দিয়ে কিনছে। রাজনৈতিকদের গদ্দার মীরজাফর টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে। কাউকে কাউকে বলছে ২৫ কোটি টাকা নিয়ে আর প্রচারে নামতে হবে না। আমার বুকের পাটা আছে! কোভিডের সময়ে কোথায় ছিলে! ভণ্ড কোথাকার! বিজেপি হল ছদ্মবেশী শয়তান। অমিত শাহ, কোভিডে আমফানে তো মুখ লুকিয়ে বসে ছিলি, তখন তো দেখা যায়নি! বলছে বাংলার মেরুদণ্ড ভাঙবে! এত্ত সহজ! দ্যাখ না পাঞ্জা লড়ে! লড়বি নাকি! খালি কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ছড়াচ্ছে আর ভাবছে তাই দিয়ে ভাবছে সব কিনে নেবে। নিজের ভোট নিজে দেবেন। ভয় পাবেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলছি, কারুর কথা শুনবেন না। না অমিত শাহ, না আমি। শুধু সংবিধানের কথা শুনুন। মা-বোনেদের গায়ে হাত দেওয়ার মতো ভুল কাজ করবেন না। আপনাদের নামে এফআইআর হওয়া কিন্তু ভাল নয়। নরেন্দ্র মোদী ভেঙায় আমায়! ভাল লাগে! ভেঙাক, আমি তো বলি, আরও ভেঙাও। আমার ভোট বাড়বে। আমাকে ভেঙিয়ে কী লাভ! আপনি আপনার মতো! আমি আমার মতো। রাজনীতিতে একটা সৌজন্য জরুরি। :মমতা
কী কী করা হয়নি বলুন! কন্যাশ্রী, বিশ্বশ্রী, সবুজসাথী, বাকি কিছু নেই। আমার মেয়েরা, কন্যাশ্রীরা আমার গর্ব। নামটা আমারই দেওয়া। সবুজসাথীর সাইকেলের জন্য চিঠি দিয়েছি কমিশনকে। ভোটের পরেই সাইকেল পেয়ে যাবেন। বিনাপয়সায় রেশন পেতে, স্বাস্থ্যসাথী পেতে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে।
আপনারা জানেন, এই হাওড়া জেলা একসময় শিল্পের ম্য়াঞ্চেস্টার ছিল। সিপিএমের সময় সেসব বন্ধ হয়ে যায়। ডোমজুড়ে রাস্তাঘাট ভাল হয়েছে, নিকাশি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ডোমজুড়ের ছেলেমেয়েদের বাইরে যেতে হবে না। আমাদের সরকারের তরফ থেকে সব কাজ আমি করে দিয়েছি। অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। আরও কাজ হবে। ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এক লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। হাওড়াতে টেক্সটাইল পার্ক হবে। একাধিক বিনিয়োগ হচ্ছে। ২৮ হাজারের বেশি শিল্প কারখানা চালু হয়েছে। সাড়ে তিনলক্ষ লোকের কাজ হবে। ডোমজুড়ের মানুষের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, এক গদ্দার মীরজাফরকে প্রার্থী করেছিলাম। সেই গদ্দার মীরজাফর আমায় বলেছিল ওকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট দেওয়া হোক। মানে আরও ভাল করে নিজের পকেট টা মোটা করবে। বেশি করে কমিশন খাবে। কল্যাণ ওর মতো দেখতে সুন্দর নয়, কিন্তু মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়বে। একটু লম্বা,ফর্সা চেহারা, কে জানবে ভেতরে এত প্যাঁচ! কেউ ভেবেছিল! হরিদাস পালের মিনিস্টার কোথাকার! আর মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কিছুই করেনি না! আমার কিন্তু, একটা হৃদয়ের যোগ থাকবে। ডোমজুড়ে আপনারা গদ্দারকে ভোট দিয়ে জেতাবেন না।
মা-বোনেরা একটা করে ভোট দেবেন। ব্যালট বক্স থেকে বিজেপিকে খালি করবেন। নরেন্দ্র মোদী! কত্ত বড় নেতা বাবাহ! নিজের নামে স্টেডিয়াম বানিয়েছে। উনি কি গান্ধীর থেকে বড় নেতা! কী মনে করেন নিজেকে! নিজের নামে মূর্তি গড়িয়েছে। আর কিছু বাকি রেখেছে করতে! বিদায় দিন এদের। বিদায় দিন। খেলা হবে। আপনারা শাঁখ বাজান, উলুধ্বনি দিন। :মমতা
মমতার সভায় শোনা গেল উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি। স্তোত্র পাঠ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করাচ্ছে। আমি ওদের দোষ দেখিনা। দোষ সব অমিত শাহের। সুযোগ পেলে আমিও কেস করে দেব। আমার সঙ্গে লড়তে এসেছে। রাজনৈতিকভাবে লড়ব। আইনের প্যাঁচেও লড়ব। সিপিএমের হার্মাদগুলো বিজেপিতে গিয়ে এইসব করছে। ভুলভাল কাজ করে লোকেদের চমকাবেন না, ধমকাবেন না। এটা বাংলা, এটা গুজরাট নয়, ইউপি নয়। অন্যায় যে করবে তাকে এক চড় লাগাবেন। আমি হলেও তাই , আপনি হলেও তাই। গুন্ডাগিরি করছে, বাইরের লোক এনে। আমি আপনাদের ঘরের মেয়ের মতো। আর আমার পেছনে এত লোক লাগিয়েছে। আমায় দিল্লি কা লাড্ডু দেখাবে না। গুজরাটের ধোঁকলা আর কলকাতার রসগোল্লা এক নয়। ক্যাশ আর গ্যাস এক নাকি! ক্যাশ দিয়ে ভোট কেনা। বিনা পয়সায় গ্যাস দাও, বলুন। আপনার বিমাকরণের কোনও গ্যারেন্টি আছে। এখন তো ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিয়েছে। কোথায় যাবেন আপনি! সারাজীবন সর্বনাশ করবে। এদের হটান। বলে পরিবর্তন করবে! আমাকে হারাবে! হারিয়ে দেখাও! বলছি তো, গোহারা হারবে তো তোমরা! ইকোনমি ডিজাস্টার একটা, দুঃশাসন, দুর্যোধনের দল কোথাকার! মিথ্যুক! ব্যাঙ্কের গোবর্ধন বাহিনী। ব্যাঙ্কে টাকা চাইতে গেলে খানিক বোধহয় এরপর গোমূত্র দিয়ে দেবে! তাই ভেবে ভোট দেবেন। একদম ভয় পাবেন না। কাউন্টিং এজেন্ট যেন কম না হয়। ভোট কিন্তু দিতেই হবে। নয়তো জেলে যেতে হবে। হ্যারাস করলেই এফআইআর করবেন। আর এফআইআর কোনও থানা না নিলে আমাদের বলবেন। আমরা দেখে নেব। রাজ্য পুলিশকে বলছি, দেখে রাখবেন। আপনারা চোখ বন্ধ করে থাকবেন না। মাথা নত করবেন না।
হুগলির শ্রীরামপুরে জনসভা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট দেবেন উন্নয়নের জন্য। গত পাঁচ বছর আমরা কী করিনি বলতে পারেন! কী দিইনি! আজ সব বাচ্চারা স্কুলে যায়, ওদের জামা-জুতো-বই-খাতাও আমরা কিনে নিই। সরকারি স্কুলে আমরা ফ্রিতেই শিক্ষা দিচ্ছি। আমরা তিন বছরের জন্য স্বাস্থ্যসাথী করে দিয়েছি। স্বাস্থ্যসাথী হলে আপনাদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। নায্যমূ্ল্যে ওষুধের দোকান তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের ব্যয় সংকোচ করতেই তো এই পদক্ষেপ করেছি। মায়েরা আপনারা বলুন। আপনাদের কথাই শেষ কথা। স্বাস্থ্যসাথী যাঁরা পাননি, তাঁদের কার্ড দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেব। চাষিভাইরা পাঁচ হাজার নয়, দশ হাজার টাকা করে পাবেন। মোদী নোটবন্দি করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভেঙে দিয়েছিল। সেই ভাণ্ডার আবার ভরে উঠবে। সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, ভুটান, বাংলাদেশে সরকারের পয়সায় ঘুরে বেড়াতে পারেন সরকারি কর্মচারীরা। প্রতিবছর দ্বাদশ শ্রেণির ছেলেমেয়েদের দশ হাজার টাকার স্মার্টফোন দেওয়া হবে। ছেলেমেয়েরা নিজেরা পড়াশোনা করে বড় হবে। কারুর কাছে হাত পাতবেন না।
বঙ্গে চতুর্থ দফা নির্বাচনের আগে শেষ প্রচার। দিনহাটায় রোড শো শুরু করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। গেরুয়া ও সবুজ বেলুনে ভরেছে রাস্তা। মিছিলে মুহুর্মুহু শোনা যাচ্ছে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি। ট্যাবলোতে চড়ে রোড শো করছেন নাড্ডা। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ঢল দিনহাটার রাস্তা জুড়ে।
সাধারণ মানুষ লকডাউনে পায়ে হেঁটে চলেছেন, আর নেতারা আকাশে উড়ে যাচ্ছেন। আর এই দলকে আপনারা নির্বাচন করবেন! দুবছর ধরে এরা আপনাদের সঙ্গে প্রতারণা করলে আপনারা কেন প্রতারণা করবেন না? করবেন। টাকা দিলে দরদাম করবেন। পাঁচশো দিলে হাজার চাইবেন, হাজার দিলে পাঁচ হাজার চাইবেন। একদিকে বহিরাগত জুমলাবাজ নেতা, দিল্লির সেভেন স্টার অফিসে বসছে, ছয় কোটি টাকার বুলেটপ্রুফ গাড়িতে যাচ্ছে, আর কৃষককে দিচ্ছে ৬ হাজার টাকা। ফ্রিতে ভাষণ দিচ্ছে বিজেপি, আর ফ্রিতে রেশন দিচ্ছেন দিদি। আপনারা কোনটা চাইছেন! লাইনে দাঁড়াতে চান না, কিন্তু রেশন চাই বাড়িতে তাই তো! ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন তো! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করবেন তো? কথা দিচ্ছেন তো? জেতাবেন তো? বাংলার মেয়ে কথা দিয়েছে ২ তারিখের পর আবার মেয়ের সরকার হবে। তখন বাড়ির বাইরে রেশন পৌঁছবে। দোকানে দাঁড়াতে হবে না। ১০ এপ্রিল লুইস কুজুরকে ভোট দিয়ে জয়ী করেন। তিন নম্বর বোতাম টিপে ভোট দিন। এক, দুই, তিন, বিশ্বাসঘাতকদের বিদায় দিন। মোদীবাবু আসে, মোদীবাবু যায়, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়। :অভিষেক
মা-বোনেদের জন্য মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় চিন্তা করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নূন্যতম মাসিক আয়ে সকল পরিবারের মহিলাদের হাতে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে, আর তফশিলি সংখ্যালঘু মহিলারা ১০০০টাকা পাবেন মাসে মাসে। পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। দিদির সরকার এলেই এই প্রকল্পগুলো শুরু করা হবে। আপনাকে বিজেপি টাকা দেবে। টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। ও টাকা আপনার টাকা। পদ্মফুলের থেকে টাকা নেবেন, ঘাসফুলকে ভোট টা দেবেন। ২-মে-র পর পদ্মফুল যেন চোখে সরষে ফুল দেখে। মোদীজির মন কি বাত কোনওদিন চোখে দেখা গিয়েছে? কিন্তু দিদির কাছে ফ্রিতে ডালভাত। এ বার আপনারাই ভাবুন।
যারা বাংলার মানুষকে চেনে না, কথা বলতে পারে না, বাংলা জানে না, তারা নাকি সোনার বাংলা গড়বে। এরা বলছে আয়ুষ্মান ভারত গড়বে বলছে। এরা জানে কিছু! আমার কোনও জাতি ধর্ম নেই, আমার মানবধর্ম। আমি ওপেন চ্য়ালেঞ্জ দিচ্ছি, নাড্ডা আসুন, শাহ আসুন, মোদী আসুন একটা কাগজ নিয়ে দাঁড়ান, না দেখে বাংলা বলুন, যদি নির্ভুল বলতে পারেন আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তো পেয়েছেন আপনারা। এই কার্ড টা কেন মায়েদের নামে করা হচ্ছে জানেন? কারণ, মেয়েরা যখন বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যান তখন আপনাদের মা-বাবাকে কে দেখবে! সেই জন্যেই এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা ব্যানার্জি ভোটের রাজনীতি করছেন! যদি করতেন তাহলে পড়ুয়াদের কথা ভাবতেন! তাই যে বিশ্বাসঘাতক জঞ্জালগুলো দল ছেড়ে চলে গিয়েছে, তাদের কথা ভেবে, দিদির কথা ভেবে নিজেরা ভোট টা দিন। ২ মে-র পর বলবেন, ‘বলো হরি, হরি বোল, বিশ্বাসঘাতক, গদ্দারদের খাটে তোল।’
মোদীজির আসল পরিবর্তনের নমুনা কী? গ্যাসের দাম দেখুন! করোনা কালে কে ছিল আপনাদের পাশে। একদিকে জুমলাবাজ সরকার। ভোটের পর হা। আর দেখা যায়নি। আর অন্যদিকে বাংলার মেয়ে। কী বলেছিল? ফ্রিতে পড়াশোনা, রেশন, কী নেই। আজ ২লক্ষ ৬৪ হাজার চা-শ্রমিক ঘর পেয়েছেন। এই মাদারিহাটে প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন চা-শ্রমিকদের উন্নয়ন করবেন। পূরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একজন ফাঁকা অডিও ক্য়াসেট, দেখতে পাবেন না, খালি শুনবেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন ডিভিডি। দেখে শুনে পরীক্ষা করতে পারবেন। বছরে বছরে দুয়ারে সরকার হবে। বিজেপি সভা-সমিতি করছে। গতকাল, স্মৃতি ইরানি সভা করেছেন। ফাঁকা মাঠ পুরো! গ্রামে মাটি কাটা হলে এর চেয়ে বেশি লোক হয়। কী লজ্জা! এখন ভোটের কালে ডেইলি প্য়াসেঞ্জারি করছে। বিজেপি বলছে মমতাকে হারাও, সিপিএম বলছে মমতাকে হটাও, আর জনগণ বলছে আবার মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানাও। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আপনারা আসুন। সাত বছর পর রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব। একদিকে আমি থাকব অন্য়দিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আমি রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যাব, আপনিও আনবেন। না জিতলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। আপনারা চান, বাংলার মেয়ে দিল্লি গিয়ে মাথা নত করুন!
আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। উপস্থিত, বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আলিপুরদুয়ার তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। লুইস কুজুরের সমর্থনে জনসভা অভিষেকের। আপনাদের কৃতজ্ঞতার ঋণ পরিশোধ করব। আগামী পাঁচ বছর উন্নয়ন করে ঋণের পরিশোধ করব। ১০ তারিখ বিশ্বাসঘাতকদের জামানত বাজেয়াপ্ত করার নির্বাচন। যারা যারা দলে থেকে সাংসদ হয়েছেন, তারপর নেতা হয়েছেন, শেষে দিল্লির কাছে গিয়ে টাকা খেয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
কৃষক বন্ধুরা এখন যাঁরা ৫হাজার টাকা পান, তাঁরা ১০ হাজার টাকা পাবেব। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, স্বাস্থ্য়সাথী, দুয়ারে রেশন সবই আপনারা পাবেন। আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষ দেখছি না। সবই কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র। বাংলার পুলিশ ফোর্সকে বলব নজর রাখতে। আপনারা মাথা নিচু করবেন না। দিল্লি থেকে এল গাই, এলো সাথে টাকার খাই। এ সব করবেন না। অনেকে টাকার জন্য বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন, অনেককে কিনে নিচ্ছে। মানুষ বহুরূপী হয় না। এরা সব চরিত্র বদল করছে। হাতা খুন্তি নিয়ে খেলা হবে। খেলা হবে। মেয়েরাই এ বার আমাকে জেতাবেন। গুন্ডাদের এত বড় সাহস! আমার মা-বোনেদের গায়ে হাত দেয়! পিটিয়ে মারুন। একদম ভয় পাবেন না। ভোটের সময় জেনে নেবেন। খেলা হবে। মা-বোনেরা মেশিন খারাপ হলে পালিয়ে যাবেন না। ভোট টা দেবেন। পান্তা খেয়ে হলেও ভোট দেবেন। বাংলা বাঁচাও, বিজেপি হঠাও। খেলা হবে, বিজেপি খালি হবে। রাজনৈতিকভাবে বিজেপিকে জবাব দিন। :মমতা
আমি জানি, বলাগড়ে একরকমের গুড় তৈরি হয়। অসীম মাজি দিয়েছিল। অসীম খুব কাজের ছেলে। কিন্তু, অসীমের বদলে আমি মনোরঞ্জনকে প্রার্থী করেছি, কারণ কী জানেন তো, মনোরঞ্জনের স্ট্রাগল শুনলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। রান্না করতে করতে বই লিখেছেন। আমি শুনে তো অবাক! উনি নাকি রিক্সা চালিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ভেরি গুড। আমি নিজেও রিক্সা চালাতে পছন্দ করি। স্কুটি চালাতে পছন্দ করি। মনোরঞ্জন দলিতদের জন্য কাজ করেছেন। তাই ওকে আমি দলিত অ্যাকাডেমির চেয়ারপার্সন করে দিয়েছি। ও অনেক কাজ করেছে। তৃণমূল অনেক কাজ করেছে। যাঁরা ধামসা মাদল বাজাচ্ছেন তাঁরাও জানেন। দয়া করে বিজেপিকে ভোট দেবেন না।
হুগলির বলাগড়ে জনসভায় বক্তব্য় রাখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমার মনে আছে বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় রথযাত্রায় পুলিশের গুলি চলেছিল। একটি ছেলে মারা গিয়েছিল। সেই ছেলেটির বাবা বলেছিলেন, ‘ছেলের মৃতদেহ যেন হাতে পাই’। আমি আকবর আর তপনকে নিয়ে এসেছিলাম। পুলিশকে বলে দিয়েছিলাম। আমি বাঁকুড়া গিয়ে খবর নিয়েছিলাম মৃতদেহটি ওই ছেলেটির বাবা পেয়েছেন কি না। না পেতেই চলে এসেছিলাম। আমি উকিল ছিলাম, ওদের হয়ে কোর্টে কেস করে ডেডবডি আদায় করেছি। :মমতা
২-মে বিজেপি ক্ষমতায় এলে পরিবহন বিনামূল্য়ে চলবে। মেয়েরা কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত ফ্রিতে পড়াশোনা করবে। আর যেসব গুন্ডারা মেয়েদের স্কুলের বাইরে ঘুরে বেড়াবে তাদের জন্য অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড তৈরি হবে। ধরবে আর ফেলবে। রাজ্যের বেকার যুবকদের জন্য চাকরি দেওয়া হবে। বাংলা জুড়ে শুধু একটাই ধ্বনি উঠবে ‘জয় শ্রী রাম’। দিলীপ সিং-কে চাঁপদানিতে পদ্মফুলে ছাপ দিয়ে জয়ী করুন। সোনার বাংলা তৈরি হবে। বাংলায় পরিবর্তন আসবে।
আমরা যা বলি তাই করি। ভাজপা কথা দিয়েছিেন কাশ্মীর থেকে আতঙ্কবাদ মেটাবেন। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন তাই করেন। আজ যে কেউ কাশ্মীরে গিয়ে জমি কিনতে পারেন নিশ্চিন্তে। কংগ্রেস যএ অধিকার থেকে আপনাদের বঞ্চিত করেছিল, মোদীজি সেই সুবিধা করে দিয়েছেন। ওখানে জমি কিনে থাকতা পারবেন চাম্পদানীর লোকেরা। মনে কোনও ভয় আসবে না। আর দিদি এখানে তো দুর্গাপুজোও করতে দেন না। উত্তর প্রদেশে গোহত্যা কেউ করলে তাকে জেলে যেতে হয়। আর এখানে দিদি গোহত্যাকারীদের আড়াল করে রাখেন। সিএএ চালু করতে যখন পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, তখন যে হিংসাত্মক আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল, তা সমর্থন করেছে মমতার সরকার। এখানে তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলে। তাই কোনও অপরাধ দেখতে পান না দিদি। নিজেকে বাংলার মেয়ে বলা দিদি দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো করতে দেন না। :যোগী আদিত্যনাথ
হুগলির জনসভা থেকে বিজেপির তরফে নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
চার বছরে উত্তর প্রদেশে এক কোটির বেশি লোক ঘর পেয়েছেন। শুল্ক ছাড়াই রেশন, ঘর পেয়েছেন লোকে। বাংলায় মাটির কথা বলেন দিদি। কিন্তু, মাটির কাছে থাকা কৃষকদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করেননি দিদি। কেন্দ্রের টাকা তৃণমূলের গুন্ডাদের হাতে তুলে দিয়েছেন দিদি। ২ মে-র পর সোনার বাংলা হবে। অত্যাচারের এই বাংলা চাই না।
ভোট আবহে (West Bengal Assembly Election 2021) ফের বিজেপি (Bengal BJP) কর্মীর দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরের (Purbo Medinipur) খেজুরিতে (Khejuri)। মৃত যুবকের নাম শম্ভু বারুই (৩৫)।
বিস্তারিত পড়ুন: অর্ধেক খোলা প্যান্ট, মুখে চাপ চাপ রক্ত! খেজুরিতে বিজেপি কর্মীর দেহ দেখে শিউরে উঠলেন গ্রামবাসীরা
তৃণমূল (TMC) প্রার্থী তথা মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার (Giasuddin Molla) ওপর হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উস্তির শিরাকোল ও রাজারহাট এলাকা থমথমে।
বিস্তারিত পড়ুন : আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, সকাল থেকে থমথমে এলাকা
দিলীপ ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় রাতভর পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার করা হল ১৬ জনকে। শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয় লক্ষ্য করে ইট, বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
বিস্তারিত পড়ুন: দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা, রাতভর পুলিশি অভিযানে