AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রঞ্জিত মল্লিক রেগে গেলে কী করেন? মুখ খুললেন কোয়েল

রঞ্জিত মল্লিক সিনেমায় একজন ন্যায় পরায়ণ অ্যাংরি ইয়ংম্যানের চরিত্রে দেখা যেত, তিনি বাড়িতে কেমন মানুষ? কোয়েল মল্লিক বাবাকে ভয় পেতেন? এর উত্তরে কোয়েল মল্লিক বললেন,"বাবা আমার কাছে একটা বয়সের পর বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। বাবার থেকে জীবন দর্শন শিখেছি।

রঞ্জিত মল্লিক রেগে গেলে কী করেন? মুখ খুললেন কোয়েল
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2025 | 2:49 PM
Share

বাংলা সিনেমায় বাবা ও মেয়ের যে জুটি বহু বছর ধরে দর্শকদের দারুণ সব চরিত্র উপহার দিয়েছেন, সেই জুটি আবার প্রায় ১৬ বছর পর বড় পর্দায় আসছে। অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক ও কোয়েল মল্লিক। তাঁদের ছবি স্বার্থপর নিয়ে গল্প করতে গিয়ে উঠে এল নানা বিষয়। রঞ্জিত মল্লিক সিনেমায় একজন ন্যায় পরায়ণ অ্যাংরি ইয়ংম্যানের চরিত্রে দেখা যেত, তিনি বাড়িতে কেমন মানুষ? কোয়েল মল্লিক বাবাকে ভয় পেতেন? এর উত্তরে কোয়েল মল্লিক বললেন,”বাবা আমার কাছে একটা বয়সের পর বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। বাবার থেকে জীবন দর্শন শিখেছি। বাবা তাঁর কাজের জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা পেয়েছেন, অনেক মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন, তাই বাবার থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি, জানতে পারি। আমার জীবনে বাবার ইনফ্লুয়েন্স অনেক বেশি। বাবা বকাঝকা করার মানুষ নন। বাবার যদি কোন বিষয়ে রাগ হয়, বাবা কথা বন্ধ করে দেন। আর এটাই বড় বিষয়। খালি মনে হয় বাবা কেন কথা বলছেন না। কেন কিছু বলছেন না। কারণ , কথা বললে বোঝা যাবে রাগটা কমেছে। এটাই ভয়ের ছিল বাবা কথা বন্ধ করলেই সমস্যা।”

কোয়েল আরও বলেন, ” ছোট বেলায় মনে আছে বাবা যখন শুটিং শেষে বাড়ি ফিরতেন, তখন রোজ বিকেলে আমরা বসে কত আড্ডা গল্প করতাম। আর এমন সন্ধ্যে হতো না। যখন আমরা মল্লিক বাড়ি যেতাম না। এই জন্য আমরা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। বাবা খুব ডিসিপ্লিন একজন মানুষ। নিয়মানুবর্তিতা বাবার থেকে শিখেছি। আমার পরবর্তী প্রজন্মকেও সেটাই শেখানোর চেষ্টা করছি। এমনিতে বাবা খুব একটা বকাঝকা করার মানুষ নন।”

কোয়েল মল্লিক টিভিনাইন বাংলাকে বলেন, ” বাবার অনেক ছবি আমার পছন্দ,মৌচাক ছবি আমি কেন সবাই মনে রাখবে,যতদিন বাংলা ছবি থাকবে ততদিন এই ছবিটি থাকবে। সবথেকে বেশি পছন্দ ‘শত্রু’ ছবিতে একজন ন্যায়পরায়ণ পুলিশের চরিত্রে পাঠ করেছিলেন। সেই সময় আমি দেখেছি সব পুলিশদের এই ছবি নিয়ে দারুণ উন্মাদনা ছিল,এই ছবিতে যে ন্যায়পরায়ণ আদর্শ পুলিশের চরিত্র, সেটা পুলিশদের দেখানো হত, উদাহরণ হিসেবে। এছাড়াও শাখাপ্রশাখা আমার পছন্দ। আর ইন্টারভিউ এর কথা কি বলব? এটা যে বাবার প্রথম সিনেমায় অভিনয় বোঝাই যাচ্ছে না। সাবলিল অভিনয়। ক্যামেরা আছে অথচ আবার নেই, একটা মানুষ কাজ পাচ্ছে না, তাঁর হতাশা, শ্যুট নেই ম্যানিকুইনকে দেখে ইট ছোঁড়া। প্রতিটা দৃশ্য অসাধারণ।”