বিয়ের জন্য ছেলে পাচ্ছেন না সায়ন্তনী, পাত্রদের অদ্ভুত শর্ত শুনে মাথায় হাত অভিনেত্রীর

Sayantani Guha Thakurta: বিয়ের জন্য সম্বন্ধ নিয়ে এসে অভিনেত্রীর উপর অদ্ভুত শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন পাত্ররা। তা দেখে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানকে জুয়া ছাড়া আর কিছুই মনে করতে পারছেন না অভিনেত্রী। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তিনি। সেই ক্ষোভ সমগ্র পুরুষজাতির প্রতি। কেন এত রাগ তাঁর?

বিয়ের জন্য ছেলে পাচ্ছেন না সায়ন্তনী, পাত্রদের অদ্ভুত শর্ত শুনে মাথায় হাত অভিনেত্রীর
সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা।
Follow Us:
| Updated on: Jun 15, 2024 | 3:35 PM

বিয়ের জন্য একদমই ছেলে পাচ্ছেন না অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা। তাঁর খুবই দুঃখ। এদিকে তাঁকে নিয়ে নানা গুঞ্জন। সব কিছুকে ছাপিয়ে TV9 বাংলা ডিজিট্যালকে অভিনেত্রী জানালেন, তিনি বিয়েটিয়ে করছেন না একেবারেই। এর অন্যতম কারণ, বিয়ের কথা এগোলেই ছেলেরা তাঁর উপর এক অদ্ভুত শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন। এবং একবিংশ শতাব্দীর মেয়ে হয়ে সেই শর্ত তিনি কোনওমতেই হজম করতে পারছেন না।

সম্প্রতি পরিচালক রাজর্ষি দে’র ‘এ বার দার্জিলিং’ ছবিতে অভিনয় করেছেন সায়ন্তনী। এক হানিমুন কাপলের চরিত্রে তিনি। পর্দায় হানিমুনে গেলেও বাস্তবে কিন্তু সায়ন্তনীর জীবনে সেরকম কিছুই ঘটছে না। বিয়েটাই হচ্ছে না তাঁর। তিনি বিস্ফোরক কিছু কথা বলেছেন, যা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলতে পারে পাঠককে। পরিবার থেকে সায়ন্তনীর জন্য পাত্র খোঁজা হয় মাঝেমধ্যে। পাত্ররা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নন কেউই। তাঁরা অন্য পেশার। সায়ন্তনীর অভিনেত্রী প্রোফাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার দেখে কথা বলতে আসেন। এবং তারপরই এক অদ্ভুত শর্ত চাপিয়ে দেন। তাক লাগানো শর্ত সেটি। তাঁরা কেউই চান না, বিয়ের পর সায়ন্তনী অভিনয় পেশায় থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, “আমরা তো যথেষ্টই রোজগার করি, তোমার আর রং মেখে অভিনয় করার কী আছে..!” ভাবুন…

এই খবরটিও পড়ুন

এই কথা ব্যক্ত করার সময় সায়ন্তনীর কণ্ঠে স্পষ্টই ধরা পড়ছিল ক্ষোভ। রেগেমেগে অভিনেত্রী বলছিলেন, “ভাবুন একবার, এঁরা এ সব বলছেন। এ সব সহ্য করা যায়! আমি কি সব ছেড়ে দেব বিয়ের পর। কেন ছাড়ব? আমি কি কারও দাস নাকি! তাই আমার মনে হচ্ছে বিয়ের উপযুক্ত ছেলে নেই।” অভিনেত্রীর সাফ বক্তব্য, “আমি এমন একজনকে খুঁজছি, যে আমাকে বুঝবে, আমাদের সম্পর্কটাকে জুয়া হিসেবে ভেবে নেবে না। যে আমাকে সম্মান করবে। সম্পর্কে প্রেম কম থাকলেও চলে। কিন্তু সম্মান একটা বড় ব্যাপার। সেটা না থাকলে আমি থাকতে পারব না। একটা জিনিস বুঝেছি, ছেলেরা তাঁর চেয়ে বেশি খ্যাতি সম্পন্ন মহিলাদের সহ্য করতে পারেন না। আর যাঁরা পারেন, তাঁরা কেউ বিয়ে করতে চান না। তা হলে আমি কী করতে পারি বলুন।”