রবিবার থেকেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে রয়েছেন আরিয়ান খান। সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে খান পরিবারের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের সঙ্গে এনসিবি তরফের আদালতের একপ্রস্থ বাদানুবাদ হয় বিচারপতির সামনেই।
দুই পক্ষই তাঁদের কাছে মজুত নানা তথ্য পেশ করেন আদালতে। একদিকে এনসিবি যেমন আরিয়ানের মাদককাণ্ডে জামিন না হওয়ার আবেদন জানায় অন্যদিকে মাদক প্রসঙ্গে আরিয়ানের হয়ে তাঁর আইনজীবী সতীশ বলেন, “জাহাজে মাদক বেচার প্রয়োজন নেই আরিয়ানের। যদি সে চাইত গোটা জাহাজটাই কিনে নিতে পারত।” পাশাপাশি তিনিও এও দাবি করেন ওই প্রমোদতরীতে বন্ধুর ডাকে গিয়েছিলেন আরিয়ান। কোনও টিকিট কাটেননি।
শনিবার রাতে গোয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়া এক প্রমোদতরীতে আচমকাই হানা দেয় এনসিবি। পার্টিতে মাদকসহ আটক হন আরিয়ান খান সহ ইন্ডাস্ট্রি ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন। এনসিবি’র তরফে জানা যায়, ওই প্রমোদতরণীতে ধরা পড়ার সময় আরিয়ানের কাছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস ছিল। নজরে আসে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও।
শুনানির শুরুতে যদিও এনসিবি-র পক্ষ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানদের রিমান্ডে চাওয়া হয়েছিল। এনসিবি-র কৌঁসুলি এএসজি সিংয়ের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগ থাকার ইঙ্গিত তাঁরা পেয়েছেন। আরিয়ান খান বেশ সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে মাদকের টাকা মেটানোর বিষয়ে চ্যাটের মাধ্যমে এনসিবি হদিশ পেয়েছে বলে সিবিআই আইনজীবী বলেন আদালতকে।
সতীশ মানশিন্ডে আদালতে পাল্টা বলেন,” কোনও মাদকই আমাদের (আরিয়ান) কাছে পাওয়া যায়নি। বাকিদের কাছে থেকে বেশি পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে আমার মক্কেলের কোনও সম্পর্ক নেই।” আরিয়ান বিদেশে থাকাকালীনও ড্রাগের নেশা করতেন, এনসিবির এই দাবিও নস্যাৎ করেন তাঁর আইনজীবী। গত এক বছর সে নিজের বিশ্ব বিদ্যালয় বাদে আর কোথাও যায়নি, কোনও ড্রাগ চক্রের সঙ্গেও সে জড়িত নয়। মাদক যদি অন্যের কাছে থেকে উদ্ধার হয়, তার দায় আরিয়ানের নয়, এমনতাই বলতে শোনা যায় তাঁকে।
পালটা রিয়ার মামলার উদাহরণ টেনে আরিয়ানের আইনজীবী বলেন, রিয়ার ঘটনায় মাদকের জন্য টাকা জোগান দেওয়া এবং মাদক মজুত করে রাখার মতো অভিযোগ ছিল। এ ক্ষেত্রে তা নেই।