মুক্তি পেল দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাস (Prabhas) খ্যাত ছবি রাধে শ্যাম (Radhe Shyam)। সাহো-র পর আবারো বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশে নয়া স্টাইল, নয়া চরিত্রে বাহুবলি, না কোনও অংশেই এই চরিত্রের সঙ্গে বাহুবলিকে গুলিয়ে ফেলার উপায় নেই। পর্দায় রোম্যান্স আছে, স্বপ্ন আছে, ভালোলাগা-ভালোবাসার সমীকরণ আছে, আচ্ছে পাল্লা দিয়ে সাসপেন্স, সব মিলিয়ে এ যেন এক অন্য প্রভাস, যাঁকে দেখে আবারও প্রেমে পড়ল শত শত মহিলা ভক্ত। তবে এই রোম্যান্স ফ্রেমে বন্দি সেলেবের প্রতিটা ধাপে জড়িয়ে থাকে সিনেম্যাটোগ্রাফি, যা এই ছবিকে দৃশ্যায়ণের ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা অন্য স্বাদের উপস্থাপনার সুযোগ করে দিয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে ছিল একাধিক চ্যালেঞ্জ, ছবির প্রমোশনে একাধিকবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন প্রভাস।
তাঁর কথায় করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শ্যুট, তাই ছবির পর্দায় জনগণ দেখানো, ক্রাউড তৈরি করাটাই ছিল মূল চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে কোথাও গিয়ে যেন সেই ছন্দেপতন ঘটার সম্ভাবনা ছিল পূর্ণ, বর্তমানের শহরকে ১৯৭০-এর ধাঁচে সাজানো মানে বেশ কঠিন বিষয়। তবে প্রভাসের কথায়, প্রতিটা পদে প্রতিটা ধাঁচে খুব যত্নের সঙ্গে সিনেম্যাটোগ্রাফির কাজ করা হয়েছে। যদিও সেক্ষেত্রে ইউরোপের বেশ কিছু পুরোনো আর্কিটেক ভিষণরকমভাবে সাহায্য করেছে। তবে পুরোনো গাড়ি, পুরোনো ফ্যাশন, সবটাই তৈরি করা, এমন কি গ্রীনস্ক্রিনের কাজও বেশ যত্নের সঙ্গে করা হয়েছে।
দক্ষিণী ছবি মানেই ভিএফএক্স-এর কাজ বেশ সুন্দর ও যত্নশীল করে উপস্থাপনা করা হয়, তারই ফলস্বরূপ এবার এই ছবিকে এতটা সুন্দর করে তোলা সম্ভবপর হয়েছে বলে প্রভাসের মত, এখানেই শেষ নয়, প্রভাস আরও বলেন, অ্যাকশন ছবিতে তাঁর দাপট সকলেরই কম বেশি জানা, কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন, রোম্যান্টিক সাসপেন্স ছবি বা অন্য ঘরানার ছবির থেকে তিনি বেশ মানসিক চাপ অনুভব করেন, তবে তিনি তার জন্য প্রস্তুত, সব ধরনের ছবি করতে চান প্রভাস, তবে ভক্তদের তাঁর প্রতি আশাটা এক ধাক্কায় বেড়ে যাওয়ায় ভালো ছবি উপহার দেওয়ার চাপটা নিঃসন্দেহে অনুভব করেন তিনি।
আরও পড়ুন- Ananya Pandey On Bollywood: নেপোটিজমের আশীর্বাদ নয়, কয়েক বছরেই হার-জিত চাক্ষুস করেছে অনন্যা
আরও পড়ুন: Shatarup Ghosh: ঘনঘন ফিল্মি পার্টিতে, মোশারফ করিমের সঙ্গে ছবি, শতরূপ কি এ বার টলিউডের ‘হিরো’?
আরও পড়ুন: Parambrata Chattopadhyay: পর্দায় বার বার মহিলাদের সহযোগী হতে আপত্তি নেই পরমব্রতর