Lata Mangeshkar: শেষ জীবনে একাকীত্ব থেকে পালাতে চেয়েছিলেন লতাজি: ধর্মেন্দ্র
প্রয়াত হয়েছেন লতা। রেখে গেছেন স্মৃতি। এমনই সব স্মৃতি হাতড়ে ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র ফিরে গেছে ১৯৬২ সালে, আনপড় ছবির সেটে।
মৃত্যুকে ভয় পেতেন লতা মঙ্গেশকর। এ কথা নিজের মুখেই বলেছিলেন বহুবার। আর একাকীত্বকে? তাকেও কি ভয় পেতেন লতা। সুরসম্রাজ্ঞীকে কাছ থেকে দেখা ধর্মেন্দ্র অবশ্য মনে করেন এমনটাই।
প্রয়াত হয়েছেন লতা। রেখে গেছেন স্মৃতি। এমনই সব স্মৃতি হাতড়ে ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র ফিরে গেছে ১৯৬২ সালে, আনপড় ছবির সেটে। তাঁর কথায়, “আমি যখন জানতে পারলাম উনি আমার জন্য আনপড় ছবিতে গান গাইবেন আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। সবাইকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম লতাদিদি আমার জন্য গান গাইবেন। মেহবুব স্টুডিয়োতে শুধুমাত্র তাঁকে গাইতে দেখার জন্যই হাজির হয়েছিলাম আমি। বহু বছর পর লতাদিদি জানিয়েছিলেন ওই দিন আমি কী রঙের শার্ট পরেছিলাম তাও তাঁর মনে আছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের প্রতিনিয়ত কথা হত। বিশেষত এই শেষের কিছু বছরে। আমার মনে হয়েছিল তিনি বোধহয় একাকীত্ব থেকে পালাতে চাইছেন।” লতার শেষযাত্রায় হাজির হননি ধর্মেন্দ্র। তাঁর বক্তব্য, “তিন বার তৈরি হওয়ার পরেও লতাদিদিকে শেষবারের মতো ওভাবে দেখতে আমি পারিনি। আমার সাহস হয়ে ওঠেনি।” যদিও লতার মৃত্যুদিনে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্ট করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, “আজ গোটা বিশ্বের মন খারাপ। মানতেই পারছি না যে তুমি নেই। মিস করব খুব লতাজি’।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। গত ৮ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লতা মঙ্গেশকরকে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯২ বছরের কোকিলকণ্ঠী। সঙ্গে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। পরিবার একেবারেই ঝুঁকি নিতে চায়নি। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল লতাকে। ২৭ দিন ধরে সেখানে ভর্তি ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। প্রথম থেকেই আইসিইউতে রাখা হয় লতাকে। চিকিৎসায় ধীরে ধীরে উন্নতিও হচ্ছিল তাঁর। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ৬ ফেব্রুয়ারি সকালেই আসে দুঃসংবাদ। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শিবাজি পার্কে বিলীন হয় তাঁর নশ্বর দেহ।
আরও পড়ুন: Valentine’s Day: টিন্ডার-প্রেম… App মুঝে অচ্ছে লগনে লগে