Lata Mangeshkar: ‘৫০- এর দশকে একটা গানের জন্য লতাজি নিতেন ৫০০ টাকা! আর আশা ভোঁসলে পেতেন মাত্র ১৫০ টাকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Feb 06, 2022 | 12:15 PM

একই বাড়িতে বড় হয়েছিলেন দুই বোন। বয়সের ফারাক তিন বছর। ছোট থেকেই দুই বোনের মধ্যে ছিল মারাত্মক প্রতিযোগিতা। ছোটবেলা থেকেই নাকি দুই বোনের সম্পর্ক বিশেষ মধুর ছিল না, এমনটাই মত ঐতিহাসিক রাজু ভারতনের।

Follow Us

প্রয়াত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। সুর সম্রাজ্ঞীর শারীরিক অবস্থার গতকাল থেকেই অবনতি হয়েছিল। হাসপাতালে দিদিকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন বোন আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। তবে ছোটবেলা থেকেই নাকি দুই বোনের সম্পর্ক বিশেষ মধুর ছিল না, এমনটাই মত ঐতিহাসিক রাজু ভারতনের (Raju Bharatan)। আশা এবং লতা, সঙ্গীত জগতের এই দুই মহারথীকে নিয়ে বই লিখেছেন এই ঐতিহাসিক। সেখানেই তাঁদের দু’জনের ছোটবেলার অনেক ঘটনা থেকে শুরু করে বলিউডে কেরিয়ার তৈরির প্রথম পর্যায়ে কেমন ছিল দুই বোনের সম্পর্ক, সেইসব কথা বলা হয়েছে।

২০১৬ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি সাক্ষাৎকারে ঐতিহাসিক রাজু ভারতন বলেছিলেন, আশা ভোঁসলে আর লতা মঙ্গেশকরের বন্ধন ছিল একটু নির্মম। রাজুর কথায়, “একই বাড়িতে বড় হয়েছিলেন দুই বোন। বয়সের ফারাক তিন বছর। ছোট থেকেই দুই বোনের মধ্যে ছিল মারাত্মক প্রতিযোগিতা। সঙ্গীতের দুনিয়ায় যখন সকলকে পিছনে ফেলে দিয়ে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন লতা মঙ্গেশকর, তখন ঠিক তেমনটাই করতে চেয়েছিলেন আশাও। ১৯৫০-৬০ এর দশকে যখন একটা গান গাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন, তখন আশা ভোঁসলে মাত্র ১০০ বা ১৫০ টাকাতেই গান রেকর্ড করে দিতেন। লতা মঙ্গেশকরের কাছে অনেক বিলাসিতার সুযোগ ছিল। যেমন- তিনি ঠিক করতে পারতেন যে কোন গান গাইবেন, কার জন্য গাইবেন। কিন্তু আশা ভোঁসলের কাছে এত বাছাই করার সুযোগ থাকত না।

ওই সাক্ষাৎকারে ঐতিহাসিক রাজু ভারতন এও বলেছেন যে, যেখানে আশা লাইভ পারফরম্যান্স করতেন লতা কোনওদিনও সেই শো দেখতে যেতেন না। বড় দিদির থেকে উৎসাহ পাওয়ার পরিবর্তে এ হেন আচরণ আশা ভোঁসলেকে বিরক্ত করত। ক্রমশ অবনতি হয় দুই বোনের সম্পর্কের। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন আশা। সঙ্গীতের দুনিয়ায় বিশেষ করে বলিউডে সত্যিই জায়গা করেও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শ্রেষ্ঠ আসন চিরকাল লতা মঙ্গেশকরেরই রয়ে গিয়েছে। একমাত্র গীতা দত্ত যেসব গান গাইতেন, সেগুলোই লতা গাননি। পরবর্তীকালে গুরু দত্তের সঙ্গে গীতা দত্তের সমস্যা তৈরি হয়। আর সেই সময়েই সুযোগ পান আশা ভোঁসলে।

ইতিমধ্যেই আরডি বর্মনের সঙ্গেও সখ্য বেড়েছিল তাঁর। নিজস্ব স্টাইল নিয়ে বলিউডে এসেছিলেন পঞ্চমদা। আশা সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক থাকলেও অনেক ভাল গান লতাকে দিয়েও গাইয়েছেন তিনি। আর তাতেই নাকি বেজায় চটে যেতেন আশা তাই (মারাঠিতে দিদিকে তাই বলা হয়)। অনেক অভিযোগও তিনি করতেন আরডি বর্মনের কাছে। এমনকী ‘ফাস্ট নাম্বার’ বা ‘ক্যাবারে’ যার জন্য আশা ভোঁসলে বিখ্যাত, সেই গান গাইতেও রাজি ছিলেন না তিনি। বলতেন দিদির মতো গান গাইবেন। যদিও তাতে রাজি হননি আরডি বর্মণ। সাফ জানিয়েছিলেন আশা না গাইলে ক্যাবারে কম্পোজই করবেন না।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

আরও পড়ুন- Rupankar On Lata Mangeshkar Death: বেনারস গেলেও লতাজির গান, পুরীতে বেড়াতে গিয়েও সঙ্গী তিনিই: রূপঙ্কর

প্রয়াত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। সুর সম্রাজ্ঞীর শারীরিক অবস্থার গতকাল থেকেই অবনতি হয়েছিল। হাসপাতালে দিদিকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন বোন আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। তবে ছোটবেলা থেকেই নাকি দুই বোনের সম্পর্ক বিশেষ মধুর ছিল না, এমনটাই মত ঐতিহাসিক রাজু ভারতনের (Raju Bharatan)। আশা এবং লতা, সঙ্গীত জগতের এই দুই মহারথীকে নিয়ে বই লিখেছেন এই ঐতিহাসিক। সেখানেই তাঁদের দু’জনের ছোটবেলার অনেক ঘটনা থেকে শুরু করে বলিউডে কেরিয়ার তৈরির প্রথম পর্যায়ে কেমন ছিল দুই বোনের সম্পর্ক, সেইসব কথা বলা হয়েছে।

২০১৬ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি সাক্ষাৎকারে ঐতিহাসিক রাজু ভারতন বলেছিলেন, আশা ভোঁসলে আর লতা মঙ্গেশকরের বন্ধন ছিল একটু নির্মম। রাজুর কথায়, “একই বাড়িতে বড় হয়েছিলেন দুই বোন। বয়সের ফারাক তিন বছর। ছোট থেকেই দুই বোনের মধ্যে ছিল মারাত্মক প্রতিযোগিতা। সঙ্গীতের দুনিয়ায় যখন সকলকে পিছনে ফেলে দিয়ে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন লতা মঙ্গেশকর, তখন ঠিক তেমনটাই করতে চেয়েছিলেন আশাও। ১৯৫০-৬০ এর দশকে যখন একটা গান গাওয়ার জন্য ৫০০ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন, তখন আশা ভোঁসলে মাত্র ১০০ বা ১৫০ টাকাতেই গান রেকর্ড করে দিতেন। লতা মঙ্গেশকরের কাছে অনেক বিলাসিতার সুযোগ ছিল। যেমন- তিনি ঠিক করতে পারতেন যে কোন গান গাইবেন, কার জন্য গাইবেন। কিন্তু আশা ভোঁসলের কাছে এত বাছাই করার সুযোগ থাকত না।

ওই সাক্ষাৎকারে ঐতিহাসিক রাজু ভারতন এও বলেছেন যে, যেখানে আশা লাইভ পারফরম্যান্স করতেন লতা কোনওদিনও সেই শো দেখতে যেতেন না। বড় দিদির থেকে উৎসাহ পাওয়ার পরিবর্তে এ হেন আচরণ আশা ভোঁসলেকে বিরক্ত করত। ক্রমশ অবনতি হয় দুই বোনের সম্পর্কের। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন আশা। সঙ্গীতের দুনিয়ায় বিশেষ করে বলিউডে সত্যিই জায়গা করেও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শ্রেষ্ঠ আসন চিরকাল লতা মঙ্গেশকরেরই রয়ে গিয়েছে। একমাত্র গীতা দত্ত যেসব গান গাইতেন, সেগুলোই লতা গাননি। পরবর্তীকালে গুরু দত্তের সঙ্গে গীতা দত্তের সমস্যা তৈরি হয়। আর সেই সময়েই সুযোগ পান আশা ভোঁসলে।

ইতিমধ্যেই আরডি বর্মনের সঙ্গেও সখ্য বেড়েছিল তাঁর। নিজস্ব স্টাইল নিয়ে বলিউডে এসেছিলেন পঞ্চমদা। আশা সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক থাকলেও অনেক ভাল গান লতাকে দিয়েও গাইয়েছেন তিনি। আর তাতেই নাকি বেজায় চটে যেতেন আশা তাই (মারাঠিতে দিদিকে তাই বলা হয়)। অনেক অভিযোগও তিনি করতেন আরডি বর্মনের কাছে। এমনকী ‘ফাস্ট নাম্বার’ বা ‘ক্যাবারে’ যার জন্য আশা ভোঁসলে বিখ্যাত, সেই গান গাইতেও রাজি ছিলেন না তিনি। বলতেন দিদির মতো গান গাইবেন। যদিও তাতে রাজি হননি আরডি বর্মণ। সাফ জানিয়েছিলেন আশা না গাইলে ক্যাবারে কম্পোজই করবেন না।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

আরও পড়ুন- Rupankar On Lata Mangeshkar Death: বেনারস গেলেও লতাজির গান, পুরীতে বেড়াতে গিয়েও সঙ্গী তিনিই: রূপঙ্কর

Next Article